সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে প্রথম ৪৫ মিনিট শেষে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে পর্তুগাল। সুইসদের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে আছে সেলেকাওরা। দলের হয়ে গোল করেছেন গনসালো রামোস ও পেপে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের অধিনায়ক ও সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোকে ছাড়াই একাদশ সাজান পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ধীরগতি ও একমাত্রিক খেলার পাশাপাশি কোচের সঙ্গে বিবাদে জায়গা হারান আন্তর্জাতিক ফুটবল রেকর্ড গোল করা রোনালডো।
ম্যাচে অবশ্য রোনালডোর অভাব টের পেতে দেননি জোয়াও ফেলিশ, বার্নার্ডো সিলভারা। রোনালডোকে ফাইনাল থার্ডের বলের জোগান দিতে হবে, এই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে অনেকটা সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠে পর্তুগালের মাঝমাঠ।
এমনই এক গোছানো আক্রমণ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান ফেলিশ। তার ক্রসে বক্সে বল রিসিভ করেন রামোস। চমৎকার বডি ডজে মার্কারকে কাটিয়ে শট নিয়ে পরাস্ত করেন সুইজারল্যান্ডের গোলকিপার ইয়ান সমারকে।
শুধু সৃষ্টিশীলতাতেই নয় ডেড বলেও এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। তেমনই এক পরিস্থিতিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা।
৩৩ মিনিটে ফার্নান্দেসের নেয়া কর্নার কিকে মাথা ছুঁইয়ে আবারও সমারকে ফাঁকি দেন পেপে। ৩৯ বছর ২৮৩ দিন বয়সে গোল করে বিশ্বকাপ নকআউটে সবচেয়ে বয়সী গোলস্কোরার বনে যান অভিজ্ঞ এ ডিফেন্ডার।
সুইজারল্যান্ড ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ফ্রি-কিক থেকে। ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া জারদান শাকিরির কিক অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে চলে গেলে নির্ভার থাকে পর্তুগাল।
সুইসরা গোলের দেখা না পাওয়ায় ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ