বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতে মাঠে নামে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ম্যাচটি শুরু হয় দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে। শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হারে কিছুটা ধাক্কা খেলেও নকআউট পর্বে এলেই সেলেসাওরা হয়ে ওঠে অদম্য।
ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় ভিনির গোলে প্রথম লিড পায় সেলেসাওরা। এরপর ১৩ মিনিটে নেইমারের পেনাল্টিতে ২ গোলে পায় ব্রাজিল।
দুই দলের অন্যান্ন পরিসংখ্যান :
১. এই প্রথম বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। আগের সাতটি মোকাবিলা ছিল প্রীতি ম্যাচে যার ছয়টিই জিতেছে সেলেসাওরা। একটি জয় কোরিয়ানদের।
২. ২০০২ সালের পর আর কখনোই ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেনি ব্রাজিল। সেই আসরে সর্বশেষ শিরোপার উল্লাসে মেতেছিল লাতিন দলটি।
৩. বিশ্বকাপে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের চারটিতে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।
৪. সর্বশেষ সাতটি বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় রাউন্ড সফলভাবে পার হয়েছে ব্রাজিল। সবশেষ ১৯৯০ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়েছিল পাঁচবারের শিরোপাধারীরা।
৫. ২০১০ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম নকআউট পর্বে পা রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সেই আসরে শেষ ষোলো থেকে উরুগুয়ে ছিটকে দিয়েছিল তাদের।
৬. নিজেদের সর্বশেষ ১১টি বিশ্বকাপ ম্যাচের মাত্র একটি জিততে পেরেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেটি ছিল চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে।
৭. বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানো একমাত্র এশিয়ান দল দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০২ সালে এই কীর্তি অর্জন করেছিল তারা। সেই বিশ্বকাপের সহ আয়োজকও ছিল দেশটি।
৮. কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে পা রাখা দলগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া একমাত্র দল যাদের ম্যানেজার তাদের দেশের কেউ নন। পর্তুগিজ কোচ পাওলো বেন্তোর অধীনে রয়েছে দলটি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ