জাপানের জন্য স্বপ্নের এক বিশ্বকাপে পরিণত হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। জার্মানি-স্পেনের মতো শিরোপা প্রত্যাশীদের গ্রুপে থেকেও ছড়ি ঘুরিয়েছে তারা। অন্যদিকে গত আসরের ফাইনালিস্ট ক্রোয়াশিয়া এখনও দেখা দেয়নি স্বরূপে। তবে যেকোনো সময় জ্বলে উঠতে পারে তারাও। উড়তে থাকা জাপানিরা বড় ম্যাচের চাপ কিভাবে সামলায় সেটাও জানা যাবে এই ম্যাচে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় কাতারে আল জানোব স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে দলের অন্যতম তারকা ডিফেন্ডার কো ইতাকুরাকে পাচ্ছে না জাপান। গ্রুপ পর্বের সর্বশেষ দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বরণ করতে হয়েছে তাকে। আরেক তারকা ফরোয়ার্ড তাকেফুসা কুবো ভুগছেন পেশির চোটে। ঝুঁকি নিয়ে তাকে খেলাবেন কিনা তা নির্ভর করছে হাজিমে মরিয়াসুর ওপর। এশিয়ার পরাশক্তি জাপান বিশ্বকাপে দেখা দিয়েছে নতুন রূপে। এদিকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল কানাডার বিপক্ষে ছাড়া আর কোন ম্যাচে ক্রোয়াশিয়া এখন পর্যন্ত খেলতে পারেনি নামের প্রতি সুবিচার করে। তাই আরও একটি অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে জাপান, অন্যদিকে মদ্রিচরাও করবেন আপ্রাণ চেষ্টা। তাই সম্ভাবনা আছে জমজমাট লড়াইয়ের। ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ ও ফর্মেশন দেখে নেয়া যাক-
ক্রোয়েশিয়া: (৪-৩-৩): ডমিনিক লিভাকোভিচ (গোলরক্ষক), জোস্কো গার্দিওল, ডেজান লোভরেন, জসিপ জুরানোভিচ, বোর্না বারিসিচ, লুকা মদ্রিচ, মাতেও কোভাচিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচ, ইভান পেরিসিচ, আন্দ্রেজ ক্রামারিচ, মার্কো লিভাজা
জাপান: (৩-৪-২-১): শুইচি গোন্ডা (গোলরক্ষক), তাকেহিরো তোমিয়াসু, শোগো তানিগুচি, মায়া ইয়োশিদা, ইউতো নাগাতোমো, হিডেমাসা মরিতা, আও তানাকা, জুনিয়া ইতো, রিৎসু দোয়ান, দাইচি কামাদা, ডাইজেন মায়েদা
দুই দলের টিকে থাকার এই লড়াইয়ে নজরে থাকবেন যারা-
শেষ আটে দলকে টেনে তুলতে লুকা মদ্রিচকে নিতে হবে প্রধান দায়িত্ব। রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গড়ে দিতে হবে একের পর এক আক্রমণ। এছাড়া চেলসি তারকা মাতেও কোভাচিচের দিকেও বাড়তি নজর থাকবে ভক্তদের।
জার্মান দৈত্য বধের দুই নায়ক রিতসু দোয়ান ও তাকুমা আসানোর দিকে আরও একবার চেয়ে থাকবেন জাপান ভক্তরা। ক্রোয়েশিয়াকে চাপে ফেলতে গোলবারের সামনে আবারও ত্রাস ছড়াতে হবে তাদের।
জাপান বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের অন্যান্য পরিসংখ্যান-
১. এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে জাপান ও ক্রোয়েশিয়া। একটি করে জয় পেয়েছে দুই দলই, অপর ম্যাচটি হয়েছে ড্র। তাদের সর্বশেষ দুটি মোকাবিলা ছিল বিশ্বকাপেই।
২. শেষ ষোলোর ম্যাচে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ক্রোয়েশিয়ার। দুইবার এই পর্ব পার হওয়া দলটি আসর শেষ করেছিল যথাক্রমে তৃতীয় ও দ্বিতীয় হয়ে।
৩. এর আগে তিনবার শেষ ষোলো খেললেও কখনোই এই পর্ব পার হতে পারেনি জাপান।
৪. নিজেদের সর্বশেষ দশটি বিশ্বকাপ ম্যাচের নয়টিতেই অপরাজিত ক্রোয়েশিয়া।
৫. চলতি আসরে বলের দখল নিয়ে একেবারেই মাথাব্যথা নেই জাপানের। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে গড়ে মাত্র ৩২ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছিল তারা। স্পেন ও জার্মানির বিপক্ষে জয় পাওয়া দুই ম্যাচে মরিয়াসুর শিষ্যদের বল পজিশনিং ছিল যথাক্রমে ১৮% ও ২৬%।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ