২০০৬ সালের পর প্রথমবার টানা দুটি আসরে কোয়ার্টার ফাইনালের মিশনে থাকা ইংলিশদের বিপক্ষে কাগজে কলমে আফ্রিকানরা পিছিয়ে। কিন্তু তাদের প্রেরণা যোগাচ্ছে ২০০২ সালের বিশ্বকাপ সাফল্য। ওইবার অভিষেকেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে বাজিমাত করেছিল তারা। গ্রুপে আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে বিদায়ের পথ দেখায় এবং শেষ ষোলোতে হারায় সুইডেনকে। নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দ্বিতীয় নকআউট ম্যাচ খেলতে নামছে সেনেগাল।
বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাত ১টায় আল খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘বি’ এর চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ সেনেগাল।
গ্রুপ পর্বে যে পাঁচ দেশ অপরাজিত তার মধ্য ইংল্যান্ড একটি। এমন ইনফর্ম স্কোয়াড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপার আশা দেখতেই পারে থ্রি লায়ন্স। তবে প্রতিপক্ষ সেনেগাল বলেই যত দুশ্চিন্তা। আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরাও যে দুরন্ত সময় কাটাচ্ছেন।
নতুন কোনো ইনজুরির খবর নেই ইংল্যান্ড দলে। তাই ফিট স্কোয়াড পাচ্ছেন গ্যারেথ সাউথগেট। তবে মধুর সমস্যায় এ ইংলিশ ট্যাকটিশিয়ান। ফিল ফোডেন, মার্কাস রাশফোর্ড, জ্যাক গ্রিলিশ, রাহিম স্টার্লিং, বুকায়ো সাকারা আছেন ফর্মে। তাই হ্যারি কেনের সঙ্গে আক্রমণভাগে কে থাকবেন সেটি ঠিক করতেই চিন্তার ভাজ কপালে।
৩ গোল করে সর্বাধিক গোলের তালিকায় ইংলিশদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কাস রাশফোর্ড।
ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেন, যদিও ওদের সাদিও মানে নেই। তবে সেনেগাল দল হিসেবে দারুণ। আমার মনে হয় সাদিওকে হারিয়ে ওরা আরও স্ট্রং হয়েছে।
তবে সেনেগালের জন্য দুশ্চিন্তা কোচ আলিউ সিসের অসুস্থতা। ম্যাচের আগে অনুশীলনে ছিলেন না শীষ্যদের সঙ্গে। তবে স্মৃতিতে আত্মবিশ্বাস খুঁজছে লায়ন্স অব তেরাঙ্গা। ২০০২ বিশ্ব আসরে ফ্রান্সকে হারানোর মধুর স্মৃতি আছে তাদের।
তবে ইদ্রিসা গুয়ে ও কোয়াতেকে পাচ্ছে না সেনেগাল। তাই কালিদু কোলিবালি, আবদু দিয়ালোদের নিয়ে ডিফেন্সিভ ফুটবলে মনোযোগী হতে পারে তেরাঙ্গা লায়ন্স। আর আক্রমণে তুরুপের তাস হতে পারেন ইসমাইলা সার।
এর আগে কখনো দেখা হয়নি ইংল্যান্ড-সেনেগালের। বিশ্ব আসরে প্রথম দেখাটা স্মরণীয় করে রাখতে চায় দুদলই।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ