সেলিয়া মারিয়া কুকসিটিনি। লিওনেল মেসির মা। মেসির জীবন ঠিক যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যার একদিকে তিনি ফুটবল ঈশ্বর। ভিনগ্রহের ফুটবলার। সেরার সেরা। অন্যদিকে বিশ্বজয়ী না হতে পারায় তিনি ট্র্যাজিক হিরো। সাফল্যের মাউন্ট এভারেস্টে থেকেও যা আগুনে বারবার পুড়তে হয়েছে এলএমটেনকে। ফুটবল জীবনের সায়াহ্নে এসে তাই আরও একবার মেসির মাকে বলতে শোনা গেল, ‘ও কত কষ্ট করেছে, তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। একটা ম্যাচ জিততে, নিজের পারফরম্যান্সকে আরও উন্নত করতে নিজেকে কীভাবে নিংড়ে দিয়েছে তা বলতে গেলে আমায় সাহিত্যিক হতে হয়। আমি বিশ্বাস করি, ঈশ্বর এতটা নিষ্ঠুর হতে পারেন না। বিশ্বাস করি, এবার অন্তত লিও সেরা হবে। বিশ্বাস করি, এবার অন্তত লিওকে ন্যায়বিচার দেবেন ঈশ্বর।’
তার ছেলের গোলে এগিয়ে গিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেদিন মাঠ ছাড়তে হয়েছিল শূন্য হাতে। সুযোগ পেয়েই নিজেদের নখে-দাঁতে শান দিয়ে নিয়েছিলেন মেসি সমালোচকরা। হতাশার প্রশান্ত মহাসাগরে ডুবে গিয়েছিলেন লিও। তারপর থেকে নাকি বারবার যিশুর কাছে মাথা নিচু করেছিলেন সেলিয়া। লাগাতার প্রার্থনা করেছেন গত কয়েকদিন।
অবশেষে মেলে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে সাফল্য। সেলিয়ার বিশ্বাস ওচোয়াদের বিরুদ্ধে ওই জয়টাই হতে চলেছে মেসিদের টার্নিং পয়েন্ট।
তিনি বলেন, ‘অমন টাফ ফার্স্ট হাফের পর, যে খেলাটা সেদিন খেলল আমার ছেলেরা ওটাই মোমেন্টাম দিয়ে দেবে। আমরা পোল্যান্ডকে হারাবই। গ্রুপ শীর্ষে থেকে নকআউটে যাব। শেষটাও করব এইভাবেই।’ -বলে দিলেন রত্নগর্ভা। সত্যি হোক তার এই ভবিষ্যৎবাণী। বিশ্বজুড়ে এই স্বপ্নে দিন গুনছেন কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী, মেসিপ্রেমী। হয়তো বা বহু মেসি-বিদ্বেষীও!
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ