ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬

বেলজিয়ানদের দিয়েই বেলজিয়ামকে হারাতে চায় মরক্কো

প্রকাশনার সময়: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৪৫

কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি মরক্কো। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে রেড ডেভিলরা। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিয়েছে আফ্রিকান দেশটি।

এছাড়াও বাংলাদেশ সময় রোববার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আল থুমামা স্টেডিয়ামে ভিন্ন এক পরীক্ষায় নামছেন মরক্কোর কয়েকজন খেলোয়াড়। কারণ, তাদের খেলতে হবে মাতৃভূমির বিপক্ষে! ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি।

‘এফ’ গ্রুপে মরক্কো তাদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। কানাডাকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছে বেলজিয়ানরা। শক্তি-সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে এই লড়াইয়ে এগিয়েই থাকবে বেলজিয়াম।

এদিকে মরক্কো স্কোয়াডে চার জন বেলজিয়ামে জন্ম নেওয়া খেলোয়াড় আছেন- মিডফিল্ডার সেলিম আমাল্লাহ, বিলাল এল খাননুস, ফরোয়ার্ড ইলিয়াস চাইর ও আনাস জারৌরি। এর মধ্যে খাননুস ও জারৌরি যুব পর্যায়ে বেলজিয়ামের প্রতিনিধিত্বও করেছেন।

বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচটি তাই আর দশটা ম্যাচের চেয়ে ‘বিশেষ উপলক্ষ’ হতে যাচ্ছে তাদের জন্য। আবেগপ্রবণ হয়ে যার প্রভাব পড়তে পারে মাঠেও।

শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে ৪৭ বছর বয়সী কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় সম্ভাবনা আছে খেলোয়াড়দের মনোযোগ হারানোর। তবে তার বিশ্বাস, স্রেফ মরক্কোকে জেতানোর মন্ত্রেই মাঠে নামবেন দলের সবাই। যে কোনো দ্বৈত জাতীয়তার ক্ষেত্রে…তাদের একটা বিশেষ আবেগ কাজ করে এবং এটি ইতিবাচক শক্তি, যা মেনে নিতে হবে। কিন্তু এটি এমন একটা ম্যাচ যেখানে কার বিপক্ষে খেলছি তা ভুলে আমাদের জিততেই হবে। আমাদের সেদিকেই মনোযোগ দিতে হবে। আমরা জানি তাদের জন্য এটি একটি বিশেষ ম্যাচ, তবে আমাদের তা একপাশে সরিয়ে রাখতে হবে। খুব বেশি আবেগপ্রবণ হওয়া যাবে না, কারণ এতে ভুল করার সম্ভাবনা থাকবে, যা আমাদের জন্য খুব ক্ষতির কারণ হতে পারে।

তবে ১৯৯৪ সালে সৌদি আরবের কাছে হারের পর থেকে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ১৩ ম্যাচ ধরে অজেয় বেলজিয়াম। তাছাড়া আফ্রিকানদের বিপক্ষেও বিশ্বমঞ্চে দাপট রেড ডেভিলদের।

বিশ্বকাপে আফ্রিকার কোনও দলের কাছে কখনও হারেনি বেলজিয়াম। সবশেষ ২০১৮ সালে তিউনিসিয়াকে ৫-২ গোলে হারায় তারা। এর আগে ২০১৪ সালে আলজেরিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়। ২০০২ সালে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র এবং ১৯৯৪ সালে মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা।

অবশ্য ২০০৮ সালের স্মৃতি মরক্কোকে উজ্জীবিত করতে পারে। ওইবার শেষ দেখা হয়েছিল দুই দলের। যেখানে ৪-১ গোলে বেলজিয়ামকে হারিয়েছিল তারা।

বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোমেলু লুকাকুকে এই ম্যাচেও সম্ভবত পাওয়া যাচ্ছে না। তার বদলে একাদশে জায়গা পেয়ে কানাডা বধের নায়ক মিচি বাতশুয়াই থাকবেন আক্রমণের নেতৃত্বে। মাঝমাঠের দায়িত্ব প্রত্যাশিতভাবে থাকবে কেভিন ডি ব্রুইনার কাঁধে। আগের ম্যাচে পেনাল্টি সেভ করে দলকে বাঁচানো থিবো কোর্তোয়ার ওপর বরাবরের মতো ভরসা রাখছেন মার্তিনেজ।

ক্রোয়েশিয়াকে চমকে দেওয়া মরক্কোর বিপক্ষে এবার জ্বলে ওঠার পালা বেলজিয়ামের।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ