বিশ্বকাপের মঞ্চে টিকে থাকতে হলে আজ কাতার ও সেনেগালের জয়ের বিকল্প নেই। হারলেই ছিটকে যেতে হতে পারে বিশ্বকাপ থেকে। দু’দলের কাছেই এই ম্যাচ বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে শুক্রবার মুখোমুখি কাতার ও সেনেগাল। প্রথম ম্যাচে একুয়েডরের বিপক্ষে হেরে ব্যাক ফুটে কাতার। আজ জিততেই হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ তৃতীয়বার বিশ্ব সেরার মঞ্চে খেলতে আসা সেনেগাল। এর আগে কখনই একে অন্যের বিপক্ষে খেলেনি দল দুটি।

উদ্বোধনী দিনে ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল কাতার। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে লড়াই জমিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হারতে হয়েছে সেনেগালকে।

প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দর্শকদের চাপ নিতে পারেননি কাতারের ফুটবলাররা। যে কারণে ইকুয়েডরের বিপক্ষে সেরা ফুটবল খেলতে পারেননি তাঁরা। সেনেগালের বিপক্ষে আর চাপে ভেঙে না পড়ে উদ্যমী ফুটবল খেলার প্রত্যাশা কাতারের স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজের, আশা করি, আমরা স্বাধীনভাবে ও চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারব। প্রথম ম্যাচের চেয়ে আরো উঁচু মানের ফুটবল খেলতে হবে।

সাদিও মানেকে হারিয়ে খর্ব শক্তির দলে পরিণত হয়েছে সেনেগাল। এর পরও নেদারল্যান্ডসকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরা। কাতারের বিপক্ষে ফিনিশিংয়ে আরও উন্নতির আশা কোচ আলিউ সিসের, ডাচদের বিপক্ষে আমরা খারাপ খেলিনি। কিন্তু আক্রমণভাগে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের।

প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ওয়েলস। ইরানকে হারানোর প্রত্যয় গ্যারেথ বেলের কণ্ঠে, জিততে হলে আমাদের আরো ভালো খেলতে হবে। এই ম্যাচ জিততে চাই। ইংল্যান্ডের কাছে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইরান। তবে ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে চিহ্ন এঁকেছিলেন ইরানের মেহদি তারেমি। ওয়েলসের বিপক্ষে সেরা ফুটবল খেলার প্রত্যাশা এই ফরোয়ার্ডের, এই ম্যাচ জিততে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব।

কাতার একাদশ (৫-৩-২)

বারশাম (গোলরক্ষক), মিগুয়েল, মোহাম্মদ, খাওখি, হাসান, আহমেদ, আল হাইদুস, বৌদিয়াফ, মাদিবো, আলি, আফিফ।

সেনেগাল একাদশ (৪-২-৩-১) মেন্দি (গোলরক্ষক), সাবালি, কোলিবালি, জ্যাকবস, দিয়ালো, মেন্দি, গুইয়ে, দিয়াত্তা, ডাইডহিউ, সার, দিয়া।