শ্বাসরুদ্ধকর গোল উৎসবের ম্যাচে পর্তুগালের জয়। ৩-২ গোলে ঘানাকে হারিয়েছে পর্তুগাল। শেষ দিকে গোল খেয়েই বসেছিল পর্তুগাল। গোলরক্ষক কস্তা ডি বক্সে বল ছেড়ে সামনে চলে আসেন। পেছনে দিয়াজ বল ক্লিয়ার না করলে জালেই ঢুকে যেতো। অল্পের জন্য গোলের দেখা পায়নি ঘানা। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই দারুণ খেলে। ৬৫ মিনিট থেকে গোল হয়েছে ৫টি। পর্তুগালের হয়ে ১টি করে গোল দিয়েছেন রোনালদো, ফেলিক্স ও রাফায়েল। আর ঘানার হয়ে গোল ২টি করেন আন্দ্রে ও বুকারি। প্রথমার্ধে একটি আক্রমণও না করা ঘানা দ্বিতীয়ার্ধে ৯টি আক্রমণ করে! অন্যদিকে পর্তুগাল ১০টি শট নেয়। ম্যাচে ৬২ শতাংশ সময় বল পর্তুগালের পায়ে ছিল।
৮৯ মিনিটে আবার ঘানার গোল
বুকারি চমকে দেন পর্তুগালকে। ডান কোনা দিয়ে দারুণ হেডে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন বুকারি। ৩-২ গোলে এগিয়ে পর্তুগাল।
৩-২ গোলে ঘানাকে হারিয়েছে পর্তুগাল
৮৯ মিনিটে আবার ঘানার গোল। ৩-২ গোলে এগিয়ে পর্তুগাল।
মাঠে নেমেই রাফায়েলের গোল
১৫ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল দিয়েছে পর্তুগাল। ৮০ মিনিটে তৃতীয় গোল দেন রাফায়েল। ৩-১ গোলে এগিয়ে আছেন রোনালদোরা।
ফেলিক্সের গোলে আবার এগিয়ে পর্তুগাল
৭৮ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্স ব্যবধান দিগুণ করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন।
৮ মিনিট পরেই সমতা আনলো ঘানা
গোল লাইনের খুব কাছ থেকে আন্দ্রে আইয়ুর পায়ের টোকা খুঁজে নেয় পর্তুগালের জাল। বিশ্বকাপে আন্দ্রের গোল ৩টি। ঘানার হয়ে যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
রোনালদোর গোল, এগিয়ে পর্তুগাল
৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রোনালদোর গোল। এগিয়ে পর্তুগাল। ডি বক্সে রোনালদোকে ফাউল করেন সালিসু। পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। বাঁ দিকে জোরালো শটে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন দলকে। এর মাধ্যমে ২০০৬ থেকে ৫ বিশ্বকাপে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে গোল করার রেকর্ড গড়েন।
রোনালদোদের মিসে প্রথমার্ধ শেষে গোল শূন্য ড্র
রোনালদোদের মিসে প্রথমার্ধ শেষে গোল শূন্য ড্র। প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছে পর্তুগাল। কিন্তু গোল মিসের কারণে গোলের দেখা পায়নি। রোনালদো শুরুতে একটি নিশ্চিত গোল মিস করেন। পরে একটি গোল দিলেও ফাউল করায় সেটি বাতিল হয়। আরও দুবার নষ্ট করেন সুযোগ। একইভাবে সতীর্থ ওটিবাও বল মেরে দেন বারের বাইরে। প্রথমার্ধে পর্তুগাল ৭টি আক্রমণ করে, বিপরীতে কোনো আক্রমণই করতে পারেনি ঘানা। ম্যাচের ৬৯ শতাংশ সময় বল ছিল পর্তুগালের পায়ে।
বাতিল হলো রোনালদোর গোল
৩১ মিনিটে ডি বক্সের বাম কোনায় জোয়াও ফেলিক্সের পাস রোনালদোর কাছে আসে। দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান। কিন্তু বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে ফাউল করেন। এটাই কাল হলো। গোল দিয়েও উল্লাস করতে পারেননি। কেননা ফাউলের সঙ্গে সঙ্গেই রেফারি বাঁশি বাজান। রোনালদোর কিছু করার ছিল না।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ