সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা। মরুর দেশে প্রথম দিনেই ঝলকটা দেখাতে চায় আলবিসেলেস্তেরা। প্রতিপক্ষ যখন সৌদি আরব, তখন তো এমন আশা থাকছেই। একদিকে টানা ৩৬ ম্যাচে অজেয় থাকার দারুণ এক রেকর্ড, অন্যদিকে দলের তারকা খেলোয়াড়দের তুমুল ফর্ম- দুইয়ে মিলে কাতারে পা রেখেই উৎসবটা করতে চাইছেন আকাশি-সাদাদের কোচ লিওনেল স্কালোনি।
শক্তিমত্তায় যোজন যোজন এগিয়ে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-সৌদি আরবের ম্যাচ এবারই প্রথমবার। শক্তি কিংবা সাম্প্রতিক ফর্ম, কোনো দিক দিয়েই আর্জেন্টিনার ধারেকাছে নেই সৌদি আরব। আর্জেন্টিনা দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন (১৯৭৮ এবং ১৯৮৬)। অন্যদিকে সৌদির সেরা সাফল্য একবার শেষ ষোলোতে খেলা (১৯৯৪ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে)। তাই স্বভাবতই এ লড়াইয়ে ফেবারিট আর্জেন্টিনা। সাম্প্রতিক ফর্মে আর্জেন্টিনা শীর্ষে থাকলেও সৌদি নিজেদের শেষ ৫ ম্যাচে দুটি জিতেছে, দুটি ড্র আর হেরেছে একটিতে।
তবে সৌদি আরবকে হেলাফেলা করলে ভুল হবে আর্জেন্টিনার। গ্রীন ফ্যালকনদের বিপক্ষে আলবিসেলেস্তেদের সাফল্য কিন্তু শতভাগ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের সঙ্গে চারবার মুখোমুখি হয়েছে মেসিরা। সেই চার ম্যাচের দুইটিতে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা, বাকি দুই ম্যাচ হয়েছে ড্র। ২০১২ সালে সবশেষ দেখায় প্রীতি ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য সমতায়। অর্থাৎ, সৌদি আরবের বিপক্ষেও পয়েন্ট ভাগাভাগির রেকর্ড রয়েছে তাদের।
সৌদি আরবের জালে এ পর্যন্ত ৭ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। আরব দেশটি আর্জেন্টিনার জালে করেছে ৩ গোল। সৌদি আরবের বিপক্ষে এর আগে একটি ম্যাচই খেলেছেন মেসি। সেই ম্যাচে তিনি গোল পাননি। এই দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৮৮ সালে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ