কাতার বিশ্বকাপে আজই প্রথম মাঠে নেমেছে আর্জেন্টিনা। লুসাইল স্টেডিয়ামে সৌদি আরবের বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে লিওনেল স্কালোনির দল। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় দলীয় আক্রমণ থেকে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। তার বাঁ পায়ের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন সৌদি গোলকিপার মোহাম্মদ আল ওয়াইজ। কিন্তু মেসিকে গোল করা থেকে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি আরব বিশ্বের দলটি।
এদিকে, সৌদি আরবের বিপক্ষে আজ মাঠে নেমেই একটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন লিওনেল মেসি। মেক্সিকোর কিংবদন্তি গোলকিপার আন্তোনিও কারবাহাল ও সাবেক ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ এবং জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথাউসের পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে গড়েছেন সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার কীর্তি। তবে একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন ম্যাচের ১০ মিনিটে।
ম্যাচের ৮ মিনিটে রদ্রিগো দি পলকে পাস দিতে বক্সের মাথা থেকে আলতো করে কিক নেন মেসি। তখন লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে আটকাতে গিয়ে বক্সে তাঁকে ফেলে দেন সৌদি ডিফেন্ডার আল বুলাইয়াহি। ভিএআর প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তটি পুনরায় মনিটরে পর্যবেক্ষণ করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান স্লোভেনিয়ান রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ। স্পটকিক থেকে মেসি যে গোলটি করলেন তার চেয়ে সহজ গোল যেন আর হয় না! মেসি কিক নেওয়ার আগেই সৌদি গোলকিপার ওয়াইজ তাঁর বাঁ দিকে ডাইভ দেওয়ার ভুলটা করে বসেন। তাতে ডান দিকে ফাঁকা হয়ে যাওয়া জায়গা দিয়ে বলটা আলতো করে জালে চালান করেন মেসি। আর এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ চারটি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়লেন মেসি।
১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯৪ বিশ্বকাপে গোল করেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপে গোল করেছেন। মেসি ২০০৬, ২০১৪, ২০১৮ ও এবারের বিশ্বকাপে গোল করলেন। ২০১০ বিশ্বকাপে কোনো গোল পাননি। সব মিলিয়ে পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে চারটি আলাদা বিশ্বকাপে গোল করলেন আর্জেন্টাইন তারকা। পেলে, উয়ে সিলার, মিরোস্লাভ ক্লোসা ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে এই ক্লাবে নাম লেখালেন সাতবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
৩৫ বছর বয়সী মেসি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবেও গোল পেলেন কাতারের আসরে। আজ গোল করলেন ৩৫ বছর ১৫১ দিন বয়সে। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রিসের বিপক্ষে ৩৬ বছর ২২৭ দিন বয়সে গোল করেছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার মার্টিন পালের্মো।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ