শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

মেসি ভিনগ্রহের জীব : ডি’ মারিয়া

প্রকাশনার সময়: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৩৩

আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ের অন্যতম নায়ক, টিমে ‘সেকেন্ড ম্যান’ হিসেবেও রয়েছে খ্যাতি। কাতারে খেলতে নামছেন ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। চোটসমস্যা কাটিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানে কতটা তৈরি আর্জেন্টিনার হয়ে ১২৪ ম্যাচ খেলা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া? নিজ দেশের সংবাদপত্রে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনার কাতার অভিযান নিয়ে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বিশ্বের অন্যতম এই তারকা ফরোয়ার্ড। আর্জেন্টাইন ভক্তদের জন্য সেই আলাপের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

টানা চতুর্থবার বিশ্বকাপ খেলতে চলেছি। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করলাম। যখন পিছনে ফিরে তাকাই, দেশের হয়ে খেলতে পেরেছি বলে গর্ব বোধ করি। বছরের পর বছর আর্জেন্টিনার মতো টিমে খেলে যাওয়া সহজ কথা নয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক সমালোচনা সহ্য করেছি। তা সামলেই জাতীয় দলের হয়ে ১২৪টা ম্যাচ খেলেছি। এই অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রতিটি ম্যাচ আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। নতুন অভিজ্ঞতা। সেই টানেই আমি খেলি। আর এবার দেশের হয়ে এটাই হবে আমার শেষ বিশ্বকাপ। যে বিশ্বকাপ আমরা জিততে এসেছি। -এক প্রশ্নের জবাবে এভাবেই বলতে শুরু করেন ডি’ মারিয়া।

তিনি বলেন- দেখুন, যেখানেই খেলি না কেন, আমি সবসময় জাতীয় দলের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করি। আর্জেন্টিনা কখনও ‘গিভ আপ’ করতে পারে না, সেটা মাথায় রেখেই ‘নেভার গিভ আপে’র কথাটা বলেছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবকিছু বদলায়। গত মার্চে ভেনেজুয়েলা ম্যাচের পরেই ঠিক করে নিয়েছিলাম কাতারে খেললে, সেটাই হবে আমার শেষ বিশ্বকাপ।

এক প্রশ্নের জবাবে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনির সাথে মতানৈক্যের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে আর্জেন্টাইন এই তারকা বলেন, আমাদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। অনেকে অনেক কথাই বলেন। সেগুলো নির্বোধের প্রলাপ বলেই মনে করি। আমি সবসময় স্কালোনিকে বলেছি, আমি তোমার দলের সঙ্গে থাকতে চাই। যে ভূমিকায় ওর আমাকে প্রয়োজন, ও ব্যবহার করতে পারে। কারণ সবকিছুর ঊর্ধ্বে জাতীয় দল। লিও (স্কালোনি) কয়েকবছর আগেও নিজে প্লেয়ার ছিল। ফলে কোচ হিসেবে সে প্লেয়ারদের মনঃস্তত্ত্ব খুব ভাল বুঝবে।

চোটসমস্যা কাটিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানের জন্য নিজেকে কতটা তৈরি করতে পেরেছেন জানতে চাইলে ডি’ মারিয়া বলেন, বিশ্বকাপের ঠিক আগে চোট লাগলে ভয় লাগবেই। আমারও লেগেছিল। তবে আমি বরাবর ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলাই। জানি, যা হচ্ছে তা বদলানো যাবে না। আমাকে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। চোট লাগার পর নিজেকে বুঝিয়েছি, কীভাবে দ্রুত সুস্থ হতে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, বিশ্বকাপের আগেই ফিট হয়ে যাব।

২০০৮ থেকে ডি’ মারিয়া খেলছেন বিশ্বের সেরা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত লিওনেল মেসির সাথে। নিজের মতো সতীর্থ মেসিরও এটা শেষ বিশ্বকাপ। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ২৮ বছর পর আলবিসেলেস্তেদের কোপা আমেরিকা জয়ের অন্যতম এই নায়ক বলেন, লিও-র সঙ্গে খেলতে পারাটা আমার কাছে গৌরবের। মেসি বিশ্বের সেরা প্লেয়ার। আমার চোখে লিও ভিনগ্রহের জীব। দেশের জার্সিতে খেলার সময় আমি ওকে কখনও ক্লান্ত হতে দেখিনি। আমরা একসঙ্গে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও এখন আরও পরিণত, আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

নতাশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ