আসন্ন ২০ নভেম্বর ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে বইছে বাড়তি উত্তেজনা। দিন গণনার মধ্যদিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে রোমাঞ্চের জন্য অধির আগ্রহে রয়েছেন বাংলাদেশী ক্রিড়াপ্রেমীরাও। এরই মাঝে পছন্দের দলকে সমর্থন জানিয়ে দেশভিত্তিক জার্সি ও পতাকা গায়ে জড়িয়ে তার ছবি তুলে স্যোসাল মিডিয়ায় পোষ্ট করছেন অনেকই। আর এনিয়ে ছন্দময় বিতর্কে জড়িয়ে পছন্দের দলকে এগিয়ে রাখতে চাইছেন অনেকেই।
তবে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থক সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি থাকায় দুই দেশের পতাকা কিনছেন ছোট-বড় সব বয়সী মানুষ। আর ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতার ভাষ্যমতে পাড়ায়, মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকা।
মো.সোবাহান ভাওল একজন ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতা। মাদারীপুর জেলার শিবচর চরকামার এলাকা থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন। মূল পেশা কৃষিকাজ হলেও ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন দিবসে পতাকা বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করেন তিনি। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে কলাপাড়া পৌর-শহরের বিভিন্ন গলিতে ঘুরে বাশেঁর সাথে পতাকা সাঁটিয়ে বিক্রি করছিলেন। তবে তার বাঁশে সাঁটানো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকা ছাড়া অন্য কোন দেশের পতাকা নেই। ছোট পতাকা ১০ টাকা আর মাঝাড়ি সাইজের পতাকা ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর মাঝে মাঝেই হুংকার দিচ্ছেন, লাগবে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল....? আর এই হুংকার শুনেই তার কাছে টাকা হাতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
কথা হলে জানান, ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে প্রতি পিচ মাঝাড়ি পতাকা ৪০ টাকা দরে কিনে মফস্বলে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। তবে অনেক ক্রেতারাই ১০০ টাকার কমে মাঝাড়ি পতাকা কিনলেও ছোট পতাকার কোর দর নেই। তা এক দরে ১০ টাকাই বিক্রি হয়। এই বিশ্বকাপে লক্ষাধিক টাকার পতাকা বিক্রি করবেন বলে আশাবাদি তিনি।
পতাকা কিনতে আসা অটো চালক মাসুদ জানান, তার পছন্দের দল ব্রাজিল। তাই পরিবারের ক্ষুদে সদস্যদের জন্য ছোট পতাকা নিয়েছেন অন্তত ৬টি। আর ১ টা মাঝাড়ি পতাকা নিয়েছেন আর্জেন্টিনা সমর্থক মুরাদ তার বাড়ির সামনে গাছে বেঁধে দেবেন বলে।
আর ফুটবল প্রেমীদের দাবি, অন্তত আগামী আরো ১৫দিন বাংলাদেশর পাড়ায়, মহল্লায় বিক্রি হবে আর্জিন্টনা ব্রাজিল। চায়ের কাপেও ঝড় উঠবে পছন্দের প্রিয় দলের তারকা খেলোয়ারদের নিয়ে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ