এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে পাকিস্তান। এরআগে শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। এরপর ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের সহজ লক্ষ্যকে টপকে যায় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করে ম্যাচসেরা হন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বুধবার (৯ নভেম্বর) ব্ল্যাক ক্যাপসদের দেয়া ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল হাতে রেখে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া সহজ লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে বেশ দাপুটে শুরু হয় পাকিস্তানের। ছন্দ ফিরে পায় এবারের আসরের দুই পাক ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সব সমালোচকদের জবাব দিয়েছে তাদের ব্যাট। তাদের জুটিতে দলকে এনে দেন ১০৫ রান। ৪২ বলে ৫৩ রান করে আউট হন বাবর। ক্যারিয়ারের ৩০তম ফিফটি হাঁকানো ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ বাউন্ডারিতে।
অন্যদিকে রিজওয়ান ৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করে আউট হন। বাবর আর রিজওয়ানকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর মোহাম্মদ হারিস বাকি দায়িত্বটা সামলে জয়ের জন্য যখন ৭ বলে ২ রান প্রয়োজন, তখন স্যান্টনারের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ৭ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পা রাখে পাকিস্তান। কিউইদের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ৩৩ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন। ২৬ রান খরচায় একটি উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেন মিচেল স্যান্টনার।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। দলীয় পঞ্চাশের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। পাক পেসার শাহিনের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ করেন ফিন অ্যালেনকে (৩ বলে ৪)।
অ্যালেনের আউটের পর ডেভন কনওয়েকে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন দলীয় কান্ডারি কেন উইলিয়ামসন। তবে পাক পেসারদের তোপের মুখে উইকেট বাঁচাতে গিয়ে মাঝে ১৮ বল বাউন্ডারিশূন্য ছিল। তবুও ইনিংসটা যখন এগোচ্ছিল, তখন আবারও ধাক্কা। ২০ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। সরাসরি থ্রুতে স্টাম্প ভেঙেছেন শাদাব খান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে অবশ্য চাপ সামলে দলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান উইলিয়ামসন ও মিচেল। তবে পাক বোলারদের ওপর খুব একটা আধিপত্য করতে পারেননি তারা। প্রথম বাউন্ডারি পেতে উইলিয়ামসনকে মোকাবিলা করতে হয় ২৯টি বল। দুজনের জুটিতে আসে ৬৮ রান। দলীয় ১১৭ রানে শাহিন আফ্রিদিকে স্কুপ খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন উইলিয়ামসন।
সাজঘরে ফেরেন ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি থেকে ৪ রান দূরে থেকে। ৪২ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ করেন তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে ধরে ৩২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ড্যারেল মিচেল। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন এ ব্যাটার। শেষদিকে নেমে জেমস নিশাম ১২ বলে ১৬ রান করেন। তাতে ১৫২ রানে থামে তাদের ইনিংস।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ রান খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন। একটি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। উইকেট তুলতে ২ ওভারে তার খরচ ১২ রান।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ