ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচের উত্তাপ এবার মাঠ ছাড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমেও। হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার, এনডিটিভি থেকে শুরু করে দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে তুলে ধরা হয়েছে ভিরাট কোহলির ফেক ফিল্ডিংয়ের বিষয়টি। দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায়ও চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের দ্বিতীয় বলটি থার্ডম্যান অঞ্চলে পাঠিয়ে দুই রানের জন্য দৌড়ান লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। থার্ডম্যান অঞ্চল থেকে ওই বলটি উইকেটকিপারের দিকে থ্রু করেন আর্শদীপ সিং। ওই বল না ধরেই ছায়া ফিল্ডিং করেন বিরাট কোহলি, যা ক্রিকেটের নিয়মবিরুদ্ধ।
এ বিষয়টি তৎক্ষণাৎ আম্পায়ারদের অবহিতও করেন ক্রিজে থাকা শান্ত। কিন্তু আম্পায়াররা জানান, সেটি তাদের নজরে পড়েনি। তৃতীয় আম্পায়ারও আপত্তি করেননি। তবে নজরে এলে এবং সত্যিকার অর্থে ফেক ফিল্ডিং হয়ে থাকলে পাঁচ রান পেতে পারত বাংলাদেশ। যেখানে পরে বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও একই ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা।
আইসিসির ৪১ দশমিক ৫ ধারা অনুযায়ী ব্যাটারকে কোনোভাবে বাধা দিলে বা বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করলে আম্পায়াররা বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসেবে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন দুই আম্পায়ার।
ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অভিযোগ জানান নুরুল হাসান সোহান। তবে, কর্ণপাত করেননি আম্পায়াররা। বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমেও। বেশ গুরুত্ব দিয়ে এ খবর প্রচার করেছে তারা। ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারের শিরোনাম ছিল: ‘ভুয়ো ফিল্ডিং! বিরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছে বাংলাদেশ? কী বলছেন সে দেশের বোর্ড কর্তা।’
এছাড়া হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, জি নিউজ, ক্রিকট্র্যাকারসহ দেশটির প্রায় সব গণমাধ্যমেই ঠাঁই করে নিয়েছে এ খবর। যদিও এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সমর্থকদের অজুহাত না খুঁজে বড় হওয়ার পরামর্শ ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের।
ভোগলে যাই বলুন না কেন, এ আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছেন ভারতীয় এক সাংবাদিক। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন: ‘কষ্ট করে জেতার বদলে আইসিসির কাছ থেকে শিরোপাটা ভারতীয় দলকে নিয়ে দিলেই পারে বিসিসিআই।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ