বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৫১। বৃষ্টির কারণে খেলা হবে ১৬ ওভারে। ৫৪ বলে প্রয়োজন ৮৫ রান। বাংলাদেশের হাতে আছে এখনো ১০ উইকেট।
বৃষ্টির আগে ভারতের বিপক্ষে ১৮৫ রানের তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ৬৬। লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু হয়েছে টাইগারদের। ৭ ওভার যেতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল মাঠে। ডি/এল স্কোরে ভারতের থেকে এখন ১৭ রানে এগিয়ে টাইগাররা।
এদিকে ২১ বলে ফিফটি করেছেন লিটন দাস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আর্শদীপ সিংকে তিন চারে নেন ১২ রান। পরের ওভারে ভুবেনশ্বর কুমারকে ১ ছয় দুই চার হাঁকিয়ে নেন ১৬ রান। ৩ ওভারে ৩০ রান নিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ। শেষ পর্যন্ত ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২১ বলে ফিফটি করলেন লিটন। লিটনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শান্ত ১১ বল খেলে করেছেন মোটে ৩ রান।
এর আগে শুরুতে ব্যক্তিগত ৯ রানে লিটন দাস উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে চেক করে দেখেন, বল ক্যাচ হওয়ার আগেই মাটিতে পড়েছে। এরপর লিটন আরেকবার জীবন পান তৃতীয় ওভারে।
অর্শদীপ সিংয়ের বলে এবারও ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিতে গিয়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। বল তার গ্লাভসে লাগলেও জমে থাকেনি। ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফের বেঁচে যান লিটন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ভারত টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ারপ্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ।
৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭ রান। গত তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তাসকিন দুর্দান্ত শুরু করেন। পাওয়ার প্লে ৬ ওভারের মধ্যে তিনি ৩ ওভার করেন। দ্বিতীয় ওভারে তার বলে জীবন পান রোহিত শর্মা। না হলে আগের তিন ম্যাচের মতো এদিনও বাংলাদেশকে শুরুর সফলতাটা তাসকিনই এনে দিতেন।
দীর্ঘদিন ধরে ফর্মে না থাকা লোকেশ রাহুল ফর্মে ফিরেছেন এ ম্যাচ দিয়ে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৩১ বলেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। অর্ধশতক পূর্ণ করার ঠিক পরেই সাকিবের লেগ স্ট্যাম্পের ওপর করা বলটা ধরতে পারলেন না। সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুস্তাফিজের হাতে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ