আট বছর আগে বিয়ের পরপরই কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন চলে গিয়েছিলেন অনুশীলন ক্যাম্পে। মেয়েদের কোচ হিসেবে শুনেছেন ঠাট্টা-মস্করা। তবুও অদম্য লক্ষ্যে মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। এনেছেন সাফের অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক সাফল্য। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর ছিল এই নারী দলের কোচ ছোটনের অষ্টম বিবাহবার্ষিকী। দাম্পত্য জীবনে মাত্র দুটি বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে সময় দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি মেয়েদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, আমরা ইতোমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছি। যাওয়ার আগেই কিন্তু বলে গেছি যে এবার আমরা ফাইনাল খেলবো। তো অবশ্যই আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ওখানে গিয়ে শুধু আমরা ওদের ডেলিভারিটা নিয়েছি।
প্রথমে বয়সভিত্তিক, পরে জাতীয় পর্যায়। প্রায় ১ যুগ ধরে নারী ফুটবল দলকে তিনি গড়েছেন শক্ত হাতে। ফলে, পরিবার, স্বজন কিংবা প্রিয়জনকে করেছেন সময় বঞ্চিত।
ব্যক্তিগত জীবন প্রসঙ্গে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর আট বছর দেখা যাবে যে, হয়তো একটা বা দুইটা বিবাহবার্ষিকীতে আমি দেশে ছিলাম। এবার মেয়েরাও কমিটেড ছিল যে ওদের আন্টিকে (ছোটনের স্ত্রী) ভালো কিছু উপহার দেবে। আসার পরেই আমি লিলিকে ফোন করে জানিয়েছি যে, এবার তোমার জন্য বড় উপহার আনছি।
এত এত সাফল্য যার হাত ধরে সেই মানুষটি প্রতিদিন ভাবেন কোচ হিসেবে আজ থাকলেও কাল নাও থাকতে পারেন তিনি। তবুও মেয়েদের রণক্ষেত্রে লড়তে সাহস উদ্দীপনাই যার মূলমন্ত্র।
এ প্রসঙ্গে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, যেদিন থেকে আমি কোচিং শুরু করছি, আমি জানি যে আমি আজকে আছি কালকে নাও থাকতে পারি। আমার মাথায় সবসময় কাজ করে যে, এখন যেখানে আছি সেটাকে উন্নত করা। এখন যদি আমাকে বাচ্চাদের একটা টিম ম্যানেজ করতে দেন, তাহলে তিন মাসের মধ্যে চেঞ্জ দেখতে পাবেন।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ