ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা ইংলিশ ক্লাবের হামজার

প্রকাশনার সময়: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১২

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। বাংলাদেশি মা ও গ্রানাডিয়ান বাবার সন্তান হামজার জন্ম, বেড়ে ওঠা, ফুটবল আঙিনায় পা রাখা; সবই ইংল্যান্ডে।

১৬ বছর বয়সে তিনি যোগ দেন লেস্টার সিটির একাডেমিতে। এই ক্লাবের হয়েই শুরু হয় তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে অভিষেক হয় তার। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও গ্রানাডার হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলার সুযোগ আছে তার। সুযোগ পেলে ইংল্যান্ডের হয়েই খেলতে চাওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে পারফরম্যান্স দিয়ে এখনও সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলার দাবি জানাতে পারেননি তিনি।

ইংলিশ পেশাদার ফুটবল খেলা প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আনোয়ার উদ্দিনের সঙ্গে সম্প্রতি নিজের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন হামজা। সেই সাক্ষাৎকারেই তিনি এবার বললেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারা তার জন্য হবে গর্বের ও সম্মানের।

হামজা বলেন, হ্যাঁ, আমি অবশ্যই তেমনটা (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) চিন্তা করি। আগামী কয়েক বছরে (এখানে) আমি কতটা ভালো করতে পারি সেটা দেখতে চাই। তবে আমি আরও বেশি গর্বিত ও সম্মানিত হব বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে…।

মুসলিম ক্রীড়াবিদদের গ্রুপ নুজুম স্পোর্টসের দূত করা হয়েছে লেস্টার সিটি থেকে ধারে ওয়াটফোর্ডে যোগ দেওয়া হামজাকে। আনোয়ার উদ্দিনকে তিনি বলেন, আমার প্রাপ্তিতে বাংলাদেশে যে প্রভাব পড়ত তা চমকে দিত আমাকেও। আমি আসলে বুঝতে পারিনি এর প্রভাব কতটা হতে পারে, যতক্ষণ না পর্যন্ত একের পর এক বার্তা আসতে শুরু করল। আমার মা প্রায়ই সারা রাত জেগে থাকতেন, কারণ বাংলাদেশ থেকে আমার খালা ও কাজিনরা কল করত। একজন পেশাদার ফুটবলার, বিশেষ করে একজন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলার হিসেবে কতটা সমর্থন পাচ্ছি, এসব বিষয়ে আমার চোখ খুলে দিয়েছে।

বাংলাদেশে হামজার শেকড় সিলেটে। এই অঞ্চলের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ অনুভব করেন বলে জানান তিনি। সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন এই ফুটবলার। হামজা বলেন, সম্ভবত শীতের ছুটিতে আমি বাংলাদেশে যাব, দেখি কতদিন বন্ধ থাকে (কাতার বিশ্বকাপের কারণে)। সন্তানদের সেখানে নিয়ে যেতে চাই। কারণ আমার শৈশবের কিছুটা তাদের দিতে চাই। আমার এক বছর বয়স থেকে আমরা প্রায়ই বাংলাদেশে যেতাম, যা ছিল ভিন্ন এক অনুভূতি।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ