লিওনেল মেসি ফরাসি জায়ান্ট ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কাতারের আমির খালিদ বিন হামাদ বিন আল থানি। মেসি পিএসজির সঙ্গেই চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছেন।
খালিদ বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি হচ্ছেন ফরাসি ক্লাবটির প্রকৃত মালিক তথা কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির সৎ ভাই। তিনি সামাজিক মাধ্যম টুইটারে জানান, ‘দুপক্ষই সমঝোতায় পৌঁছে গেছে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’
এদিকে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পিএসজির আর্জেন্টাইন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো এরই মধ্যে যোগাযোগ করেছেন মেসির সঙ্গে। দুজনের মধ্যে প্রাথমিক সমঝোতাও হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। শনিবারই (৭ আগস্ট) চূড়ান্ত ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।
বার্সা ছাড়ার পর মেসির পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে পিএসজি ও ম্যানচেস্টার সিটির নাম বেশ জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিজেনদের কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মেসি বার্সায় থাকবে তাই গ্রিলিশকে নিয়ে ভেবেছি এবং তাকে দলে ভিড়িয়েছি। আর সে এখন থেকে ১০ নাম্বার জার্সির মালিক।’
ফলে পিএসজি এখন মেসির একমাত্র বিকল্প হিসেবে হাজির হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তারা বিশ্বসেরা ফুটবলারকে পেতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। কিন্তু সেই সুযোগ এবার হাতের মুঠোয় এসে গেছে। খোদ নেইমার জুনিয়রও তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মেসিকে পাওয়ার ক্ষেত্রে পিএসজি সবচেয়ে এগিয়ে থাকার পেছনে আরও একটি কারণ হচ্ছে, কারণ তার বিশাল অঙ্কের বেতন পরিশোধের ক্ষমতা ফরাসি জায়ান্টদের ভালোভাবেই আছে। তাছাড়া সেখানে গেলে দি মারিয়া ও নেইমারের মতো বন্ধুর সঙ্গে খেলতে পারবেন তিনি। আর দলটির কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনোও তার স্বদেশী।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। দুই পক্ষ আর্থিক বিষয় এবং চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে একমত হয়েছিল। কিন্তু লা লিগার আরোপিত অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতায় তা সম্ভব হয়নি।
গত ৩০ জুন বার্সার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল মেসির। তখনও শোনা গিয়েছিল, চুক্তি নবায়ন হচ্ছে। এমনকি বার্সাকে সাহায্য করতে বেতন অর্ধেক কমিয়েও নিতে চেয়েছিলেন সদ্য সাবেক বার্সা অধিনায়ক। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। শেষ পর্যন্ত ১৭ বছরের বন্ধন ছিন্ন হলো। সূত্র: মার্কা।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ