ক্রিকেটের জন্য গুরুতর অসুস্থ বাবার পাশে থাকতে পারতেন না বেন স্টোকস। বাবার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। বাবার মৃত্যুর ধাক্কা এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেননি স্টোকস। বেশ কিছু দিন মস্তিষ্কের ক্যান্সারে ভোগার পর দু’বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর বাবার। তারপর থেকেই দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতার সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন স্টোকস। সে সময় থেকেই নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তাঁকে।
অ্যামাজনের প্রামাণ্যচিত্র ‘ফিনিক্স ফ্রম দ্য অ্যাশেজ’-এ দেয়া সাক্ষাতকারে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন স্টোকস নিজেই। স্টোকসের পৃথিবীর অনেকটা জুড়ে রয়েছে তার বাবা জেরার্ড স্টোকস। বাবার অনুপ্রেরণাতেই ক্রিকেটে পথচলা বিশ্বকাপজয়ী এ তারকার। ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবা যখন মৃত্যুর পথযাত্রী তখনও ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন স্টোকস। যার কারণে প্রিয় বাবাকে শেষ বারের মতো দেখা হয়নি তার। আর এ বিষয়টি কোনোভাবে মেনে নিতে পারেননি তিনি। ধীরে ধীরে তাকে ঘিরে ধরে মানসিক অবসাদ।
এ বিষয়ে সাক্ষাতকারে স্টোকস বলেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ক্রিকেট থেকে দূরে থাকব। খেলাটার ওপর খুব রাগ হতো তখন। কারণ, ক্রিকেটই মৃত্যুপথযাত্রী বাবার কাছ থেকে আমাকে দূরে থাকতে বাধ্য করেছিল। বিশ্রাম ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন স্টোকস। তবে অবসাদ তাকে এখনও দেয়নি মুক্তি। তিনি বলেন, মাঠে ফিরেছি, তবে ওই প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। আগের মতো নিয়মিত না হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় এখনও। মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
স্টোকস যোগ করেন, কখনও ভাবিনি, এমন সমস্যার জন্য আমাকে ওষুধ খেতে হবে। এটা বলতে আমি বিব্রত বা লজ্জিত নই। কারণ, আমার সত্যিই তখন সাহায্যের প্রয়োজন ছিল।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ