ট্রেন্ট ব্রিজের উইকেটে যে বোলাররা বেশি সুবিধা পাবেন, সেটার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটলও সে রকমই। মাত্র ১৮৩ রানেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
বুধবার (৪ আগস্ট) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েন তারা। ভারতীয় বোলাদের দাপটে ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানই সেভাবে টিকতে পারেননি। ১৮৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা।
একমাত্র জো রুট ৬৪ রান করেছেন। আর স্যাম কুরান অপরাজিত ২৭ করে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছেন। বাকিদের দশা খুবই করুণ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান জনি বেয়ারস্টোর। তিনি ২৯ রান করেছেন।
ভারতের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। শার্দুল এ দিন ভারতের ৫৯ ওভারে বল করতে এসে প্রথমে জো রুটকে ফেরান। তার পরে অলি রবিনসনকে ফেরান। এর পর বাকি দুই উইকেট পড়তে বেশি সময় লাগেনি। মোহাম্মদ সিরাজও একটি উইকেট নিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের ১৮৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ২১ রান। ক্রিজে রয়েছেন রোহিত শর্মা (৯) এবং লোকেশ রাহুল (৯)।
বল হাতে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নতুন লাল বলে তারা পাল্টা আঘাত দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় মৌসুম এটি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে বেশ কিছু নিয়মে বদল এসেছে। পুরান নিয়মানুযায়ী পাঁচ ম্যাচ সিরিজের কোনো টেস্টে জয় পেলে দেওয়া হত ২৪ পয়েন্ট, পুরো সিরিজে পয়েন্ট বরাদ্দ ছিল ১২০।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি সিরিজে একটি ম্যাচের জন্য ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ, পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হলে মোট পয়েন্ট ৬০। ম্যাচ ড্র হলে উভয় দল ৪ পয়েন্ট করে পাবে, টাই হলে পাবে ৬ পয়েন্ট করে।
২০১৯-২১ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল ভারত। শিরোপার স্বাদ আর নেওয়া হয়নি বিরাট কোহলির দলের। গত জুনে সাউদাম্পটনের সেই ফাইনালে ৮ উইকেটে জয় পায় কেন উইলিয়ামস বাহিনী। পরপর দুটি ফাইনালে এসে অবশেষে সফল হয় ব্লাক ক্যাপস দল। দুই ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন কাইলে জেমিসন।নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ