সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গেল ৫ আসরের আক্ষেপ ভুলে এবার ম্যাচ বাই ম্যাচ ইতিবাচক ফুটবল খেলে শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের। তিন বছর পর আবারো মাঠে গড়াচ্ছে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামী ৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমন্ডুতে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরটি অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ ‘এ'তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান। ৭ সেপ্টেম্বর নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্ট সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে জাতীয় দলের ফুটবলাররা। ক্যাম্পে থাকা ২৮ ফুটবলার থেকে ২৩ জনকে চূড়ান্ত করবে টিম ম্যানেজম্যান্ট। যেখানে জায়গা করে নিতে পারে আফেইদা-রিপারা।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বেশ কিছু সাফল্যের দেখা পেলেও, সিনিয়র পর্যায়ে গেল ৫ আসরে ট্রফির স্বাদ পাওয়া হয়নি সাবিনাদের। সবশেষ মালেয়শিয়ার বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাস সাফে কাজে লাগাতে চায় ছোটন শিষ্যরা। ম্যাচ বাই ম্যাচ ইতিবাচক ফুটবল খেলে শিরোপায় চোখ লাল-সবুজদের।
নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, আমাদের স্কোরিং লেভেলে একটু দুর্বলতা ছিল। তবে সবাই নিজেদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। নির্ধারিত প্রাকটিচ সেশনের পরও সব ফুটবলার ব্যক্তিগতভাবে স্কিলে উন্নতি আনতে আরও সময় দিচ্ছে। আগের থেকে এখন আরও ইম্প্রোভ হয়েছে।
ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার বলেন, এশিয়ার মধ্যে বড় একটা টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। সেটিকে সামনে রেখে সবাই অনেক পরিশ্রম করছে।
আসরে এবার ভারত ফেভারিট। তাই নতুন পরিকল্পনার ছক কষছেন কোচ। মালেয়শিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দলে তেমন পরিবর্তন আনতে চান না ছোটন। তবে সাফে অংশ নেওয়ার আগে দলের কম্বিনেশন ঠিক করতে অন্তত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার লক্ষ্য হেড কোচের।
কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, কাউকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। সবাই শক্তিশালী। সাফে খেলার আগে কয়েকটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে নিজেদের আরও ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকবে।
প্রস্তুতি ম্যাচের বিষয়ে বেশ ইতিবাচক ফেডারেশন। ফিফা উইন্ডো কাজে লাগিয়ে ঘরের মাঠে কিংবা অ্যাওয়েতে দুই থেকে তিনটি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, নেপালে যাওয়ার আগে দলের প্রস্তুতি যেন শতভাগ হয়, সে জন্য কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে। সে হিসেবেই কাজ চলছে।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ