দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। স্বাগতিক বোলারদের বোলিং নৈপুণ্যে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৯ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪৫৩ রানের চেয়ে এখনও ৩১৪ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। ফলোআন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ১১৫ রান।
রোববার (১০ এপ্রিল) ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মুশফিকুর রহিম ৩০ আর ইয়াসির আলি রাব্বি ৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন। হাতে একমাত্র স্বকৃত ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ।
৪৫৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট করে তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দল। হারিয়ে বসে ডারবান টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়কে। ডুয়ানে অলিভিয়ের করা বলটি পিচ করে বাইরে বেরিয়ে যায় অনেকটা। জয় সুইংয়ের অপেক্ষা না করেই পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করেন। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন এই ওপেনার।
ইনিংসের ২১তম ওভারে ফিরেই অধিনায়কের আস্থার মান রাখেন ভিয়ান মুল্ডার। ফেরান আগ্রাসী হয়ে ওঠা ওপেনার তামিমকে। মুল্ডারের রাউন্ড দা উইকেটে করা ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকেম অন সাইডে খেলার চেষ্টায় তামিম ব্যাটের মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন একটু আগেই। বল লাগে প্যাডে। নিশ্চিত আউট জেনেই রিভিউ নেননি তামিম। ৮ চারে ৫৮ বলে ৪৭ করে ফেরেন তিনক। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে জুটির সমাপ্তি ৭৯ রানে।
তামিমের আউটের পর ধ্বস নামে বাংলাদেশ শিবিরে। মুল্ডার এবার ফেরান শান্তকে। তামিমের মতো শান্তও অন সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন আগেই। বল লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ আবেদন করে সফল হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শান্ত আউট হন ৭৪ বলে ৩৩ করে। এরপর একে একে ফেরেন মুমিনুল (৬) আর লিটন দাস। ৮২ থেকে ১২২, এই ৪০ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাদে টাইগাররা। পরে অবশ্য দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি মুশফিক। রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে খেলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ