ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাকিবকে সতর্কবার্তা সুজনের

প্রকাশনার সময়: ০৮ মার্চ ২০২২, ২১:৩৭

সাকিব আল হাসান বা কোনো ক্রিকেটার কোনো সংস্করণে খেলতে না চাইলে সমস্যার কিছু দেখছেন না জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। কারও জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট থমকে থাকবে না বলেও স্পষ্ট উচ্চারণ তার। পাশাপাশি এই বিসিবি পরিচালকের চাওয়া, বিভিন্ন সিরিজ বা সফরের আগে সাকিবের খেলা না খেলা নিয়ে ক্রমাগত টানাপড়েন ও অনিশ্চয়তায় এবার যেন ‘ফুল স্টপ’ টানা হয়। সাকিবকে নিয়ে সোমবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর গতকাল খালেদ মাহমুদ সুজনও বুঝিয়ে দিলেন, বিসিবি এবার শক্ত অবস্থান নিতে চলেছে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খালেদ মাহমুদ প্রশ্ন তুললেন সাকিবের বিরতি চাওয়ার সময়টা নিয়ে। ‘একজন ক্রিকেটার ছুটি চাইতেই পারে। কিন্তু সাকিব সেটা আগে বললেই পারত। আগে একটা চিঠি দিয়েছিল (টেস্ট থেকে বিরতি চেয়ে)। পরে আবার পাপন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে রাজি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট-ওয়ানডে সব খেলতে। তারপরও কেন এরকম বলল, এটা তো আমি বলতে পারব না। সাকিবের মনের কথা তো আমি বলতে পারব না।’

‘আমি মনে করি, মাঝে মধ্যে আমরা এটা টেনে লম্বা করি। সেটা না করে যা আসবে, তা মেনে নেওয়া উচিত। সাকিব ফেরার পর (দুবাই থেকে) কথা বলে যদি সফরে যায় তো ভালো, না গেলেও সমস্যা নেই। এটা বড় ব্যাপার নয়। কারও জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বসে থাকবে, এটা ভাবা ভুল।’

এই মাসেই বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিবের টেস্ট খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নিশ্চিত করেন, পুরো সফরেই পাওয়া যাবে এই অলরাউন্ডারকে। পরে তাকে রেখেই ঘোষণা করা হয় দুই সংস্করণের বাংলাদেশ দল; কিন্তু গত রোববার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দুবাই যাওয়ার আগে সাকিব বলেন, এই মুহূর্তে ক্রিকেট খেলার মতো শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় তিনি নেই।

সাকিবকে জোর করে বা অনুরোধ করে খেলানোর পক্ষপাতী নন খালেদ মাহমুদ। তেমনি সাকিবের কাছ থেকেও তিনি চান পরিষ্কার বার্তা, কোনো সংস্করণে খেলা উপভোগ না করলে তিনি যেন সরাসরি জানিয়ে দেন বোর্ডকে।

‘সাকিব যদি না খেলে, না খেলুক টেস্ট ম্যাচ। আই ডোন্ট কেয়ার। বিসিবি এতটা কনসার্নও না, যদি না খেলতে চায়। আপনি জোর করতে পারবেন না। আমরা চাই, ও খেলুক। যতদিন পর্যন্ত ফিট থাকবে, সাকিব খেলুক। কিন্তু ও যদি উপভোগ না করে, তাহলে মনে হয় যে বলে দেওয়া উচিত আমি টেস্ট খেলব না বা ওয়ানডে খেলব না কিংবা কোনো একটা-দুইটা ফরম্যাট খেলব না। কোনো সমস্যা নেই।’

গত মাসে শেষ হওয়া বিপিএলে সাকিবের দল ফরচুন বরিশালের কোচ ছিলেন খালেদ মাহমুদ। পরে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে আফগানিস্তান সিরিজও সাকিবকে কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। আইপিএলের নিলামে দল না পাওয়া সাকিবের মনে প্রভাব ফেলতেও পারে বলে ধারণা তার।

‘প্রত্যাশা শুধু সাকিব নয়, আমিও করেছিলাম যে ও ভালো দামে আইপিএলে বিক্রি হবে। ভালো ফর্মে ছিল, আইপিএলে দলের সংখ্যাও বেড়েছে। খুবই অবাক হয়েছি যে, সাকিবকে কেউ নেয়নি। শুধু সাকিবের জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্যও লজ্জার যে, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার আমরা বলি, কিন্তু আইপিএলের মতো জায়গায় খেলতে পারছে না।’

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ