আইপিএলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে না খেলার কথা বিসিবির কাছে আগেই জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান; কিন্তু আসরটির মেগা নিলামে দল পাননি বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা। পরিস্থিতি পাল্টালেও নিজের মত বদলে এখনও নতুন কিছু জানাননি সাকিব।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজ শেষে তিনি আলোচনায় বসবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে। সেখানে সাকিবের কাছে তার আগামী এক বছরের পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হাজির হন জালাল। সেখানে তিনি সাকিবের টেস্ট খেলতে চাওয়া-না চাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
আইপিএলের সর্বশেষ মেগা নিলামে দুই কোটি রুপি ভিত্তি মূল্যের সাকিবের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। দু’দিনে দু’বার তার নাম উঠলেও অবিক্রীত থেকে যান তিনি। সেখানে দল না পাওয়ায় তার অন্য কোনো ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা থাকার সুযোগ নেই। তাই প্রশ্ন উঠেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে তাকে দেখা যাবে বাংলাদেশের জার্সিতে? জালাল জানালেন, সাকিবের সঙ্গে আলাপ করে তার পরিকল্পনা জানতে চাইবে বিসিবি, ‘এখন আইপিএলে যেহেতু যাচ্ছে না সে, চিত্রটা বদলেছে। সে বলেছে, কালকে বা এই সিরিজ শেষে (ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পর) সভাপতি সাহেবের সঙ্গে বসবে, বসে সে তার পরিকল্পনা জানাবে।’বিসিবির পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান যোগ করেন, ‘ শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ না, সব কিছু নিয়ে। মূলত, আমরা তার কাছে এক বছরের পরিকল্পনা চাইব।’
সাকিবের টেস্ট খেলতে না চাওয়ার ব্যাপারে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যোগ করলেন, ‘আপনারা সংবাদ করেছেন যে টেস্ট ম্যাচ সে খেলতে চাচ্ছে না। আবার আমরা জানি, টেস্ট ম্যাচ সে খেলতে চায়। সে কতগুলো টেস্ট ম্যাচ খেলবে, পরিকল্পনাটা কী- সেটা আমরা জানতে চাচ্ছি। সেটা পরিষ্কার করুক আমাদের কাছে। ওয়ানডে সিরিজের পর আমরা জানতে পারব।’
গত বছর আইপিএলের কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে ছিলেন না সাকিব। জাতীয় দলের জার্সিতে তার বেছে বেছে খেলা নিয়ে নানা সময়ে তৈরি হয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক। জালাল বললেন, জোর করে না খেলিয়ে বরং দুই পক্ষের চাহিদা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বোর্ডকেই, ‘না, পিক অ্যান্ড চুজের ( বেছে বেছে খেলা) না। এমনও হতে পারে, তার কিছু সমস্যা থাকতে পারে।
যদি মনে করে, ‘এই ফরম্যাটটা আমি খেলতে চাচ্ছি, কিন্তু কিছু ম্যাচ হয়তো মিস হবে।’ সব ম্যাচই খেলবে, এরকম বাধ্যবাধকতার কথা বলি না আমরা। কেউ বলতে পারে যে টেস্ট এতগুলো আছে, আমি এর মধ্যে এতগুলো খেলতে চাই। সেভাবে আমরা তাকে বিবেচনা করব।’ ‘এটা (বিসিবি) তো সেই ধরনের সংস্থা না। দয়া করে তাদের (খেলোয়াড়দের) আমাদের চাকুরে হিসেবে বিবেচনা করবেন না।
তারাও ক্রিকেটের স্টেকহোল্ডার। হ্যাঁ, চুক্তি অনুযায়ী বাধ্য থাকে (সব ম্যাচ খেলার জন্য), তবে সব যে কড়াকড়ি থাকে, তা তো না। সমস্যা থাকলে বলতেই পারে। সিদ্ধান্তটা হলো আমাদের, আমরা কীভাবে নিব। সে যদি চায়, নির্দিষ্ট সময় টেস্ট খেলব, সেই স্বাধীনতা কি তার নেই?’ আগামী মাসে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে বাংলাদেশ দল। ২০১৭ সালের পর প্রোটিয়াদের মাটিতে এটাই টাইগারদের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। ১৮ মার্চ শুরু হয়ে সিরিজটি চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ