ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিরাজের ঘটনায় সন্দেহজনক কিছু পায়নি বিসিবি

প্রকাশনার সময়: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৩৪

মেহেদী হাসান মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ঘটনায় বিব্রত বিপিএলের আয়োজক বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ঢাকায় ফেরার পর মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ফ্রাঞ্চাইজিকে নিয়ে শুনানিতে বসার কথা জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পায়নি তারা। একই সঙ্গে হুশিয়ারি দিয়েছেন, বিপিএলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কাউকেই ছাড় দেবে না বিসিবি। প্রয়োজনে ফ্রাঞ্চাইজি বাদ দেবে। ক্রিকেটারকেও সরিয়ে দেবে।

কোনো কারণ ছাড়া অধিনায়কত্ব থেকে সরানোয় মিরাজ চট্টগ্রামের হয়ে বিপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। মিরাজকে সরিয়ে নাঈমকে দায়িত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম জানায়, হেড কোচ পল নিক্সনের পর্যবেক্ষণে মিরাজকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নিক্সনের সঙ্গে কথা বলে মিরাজ জানতে পারেন, এ ঘটনা স্রেফ বানোয়াট। এজন্য বিসিবিকে জানিয়ে টিম হোটেল থেকেও বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে তাকে বুঝিয়ে, আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দিনভর এসব নিয়ে চলে নাটক। বায়ো বাবল থেকে বেরিয়ে দল নিয়ে গণমাধ্যমে মিরাজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেন।

এসব মোটেও পছন্দ হয়নি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেলের। মিরপুরে তিনি বলেছেন,‘মিরাজেরও এখানে ভুল আছে। ম্যানেজমেন্টেরও ভুল আছে। দুই পক্ষেরই কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হয়। মিরাজও যে কাজটা করেছে, এত বড় মাপের খেলোয়াড় হয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে এই টুর্নামেন্টের ভেতরে তার ভূমিকাটা ঠিক রাখা দরকার ছিল। তার অপেক্ষা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমর ডিসিপ্লিনারি কমিটি ছিলাম একটু অপেক্ষা করতে পারত। ফ্র্যাঞ্চাইজিরও এখানে সমস্যা আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও ছাড় দেব না। হেয়ারিং হবে কিছুদিনের মধ্যে। দুই পক্ষকে নিয়ে আমরা হেয়ারিং করব। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও ধৈর্য ধরা উচিত ছিল। নিজেরা আলাপ করে দুই পক্ষই সমঝোতা করে একটা কিছু করতে পারত। এটা এত বড় পর্যায়ে যাওয়ার জিনিস ছিল না।’

বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার বলেছেন, ‘যে ঘটনা ছিলো, মিরাজ অধিনায়ক হিসেবে প্রতিটি ম্যাচের আগেই বলছিল ও ওপেন করতে চায়। প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি তো জেতার জন্য দল করে। তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। অবশ্যই এটা পেশাদার ভাবে সামলানো উচিত ছিল। ও ওপেনিং কেন চাচ্ছে? ওর মতামত কি। কোচ কী বলে, সহকারী কোচ, কম্পিউটার অ্যানলিস্ট, বোলিং কোচ আছে, দলের ম্যানেজার আছে, সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। কিন্তু জিনিসটা এভাবে হওয়াটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। ফ্র্যাইঞ্চাজিও যেভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে, মিরাজও যেভাবে জৈব সুরক্ষা বলয় ব্রেক করে বাইরে এসে বিবৃতি দিয়েছে ঠিক কোন ভাবেই এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’

ইসমাইল হায়দার কড়া হুশিয়ারি দিয়ে রাখলেন, ‘প্রত্যেকে রেসপন্সিবল অ্যাটিচুয়েড করতে হবে। যদি সেটা কেউ না করে ভবিষ্যতে সেটা খেলোয়াড় হোক আর ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক আমরা তাকে বিপিএলে রাখবো না। এটাই আমরা করতে পারি। এটা তো কোন সমাধান নয়। আপনাকে আরো বড় করে দেখতে হবে। টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তি জন্য এটা কিন্তু ঝামেলা হয়।’

মাঠে নামার তিন ঘণ্টা আগে মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় সন্দেহজনক কিছু দেখছে না আয়োজকরা। এর আগে এমন এক ঘটনা থেকেই ফিক্সিংয়ের কাণ্ড বেরিয়ে এসেছিল। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের অধিনায়ক মাশরাফিকে সরিয়ে আশরাফুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আশরাফুল জড়িয়ে যান ফিক্সিংয়ে।

ইসমাইল হায়দার বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এখনও সন্দেহজনক কিছু আসেনি। তারা বলেছে এটা মিস কমিউনেকশন। তাদেরকে আমরা শুনানিতে ডাকবো। তাদের কাছ থেকে তো পুরো ব্যাপারটা জানতে চাইবোই। শুধু এই ব্যাপারটি নয়, বিসিবির এন্টি করাপশন দল প্রতিটি ম্যাচকেই ফলো করছে। প্রতিটি দলের সাথেই আমাদের এন্টি করাপশনের একজন করে লোক আছে। তারা ক্লোজলি মনিটর করছে। শুধু বিসিবি নয়, এটা আইসিসিও করে। এটা কিন্তু প্রোপারলি করা হয়।’

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ