বিদায় নিচ্ছে ২০২১ সাল। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার পার হতেই শুরু হবে নতুন বছর ২০২২। তবে বিদায়ী বছরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দিয়েছে অনেক মনে রাখার মতো ঘটনা। তবে সব ছাপিয়ে ২১ সালের অধিকাংশ সময়ে আলোচনায় ছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি।
তার কোপা আমেরিকা জয় বা বার্সেলোনাকে বিদায় বলা- এই বছরটাকে মনে রাখতে যথেষ্ট। । বর্ষপরিক্রমায় মেসির এই হাসি-কান্নার স্মৃতি নিয়েই আজকের এই আয়োজন_
কোপা আমেরিকার ফাইনালের শেষে রেফারির বাঁশি বাজতেই সাইডলাইনের পাশে থাকা মেসির হাঁটু গেড়ে বসে মুখ ঢেকে কান্না, সতীর্থদের তার দিকেই ছুটে আসা। এরপর বাঁধভাঙ্গা উদযাপন। এমনকি প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় নেইমার-ও চলে আসেন মেসির পাশে, অভিবাদন জানাতে।
দেশের ২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘোচানোর চেয়েও লাইমলাইটে আসে দেশের হয়ে মেসির প্রথম শিরোপা জয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানীর কাছে হৃদয়ভাঙা আর্জেন্টাইন তারকা এবার আক্ষেপ ঘোচালেন, মেটালেন তৃষ্ণা।
অধিনায়ক মেসি সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের শিরোপা খরা মেটাতে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সর্বোচ্চ এসিস্ট দাতাও তিনি। জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। এই আসরেই ভেঙেছেন পেলের রেকর্ড। লাতিন আমেরিকায় মেসির চেয়ে বেশি গোল নেই এখন অন্য কারো।
আকাশি-নীল জার্সিতে মেসির শিরোপা উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য যে কেবল আর্জেন্টাইনদের আনন্দ দিয়েছে এমনটা নয়। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রতিটি মেসিভক্ত এদিন আনন্দে ভেসেছেন, কেঁদেছেন। তবে চলতি বছর মেসিভক্তদের কান্না কেবল সুখের নয়, ছিল দুঃখের-ও।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে অপ্রাপ্তির অবসান ঘটিয়ে এক মাস না যেতেই বিচ্ছেদের কান্না কাঁদতে হলো মেসিকে। এ বছরেই নিজের ঘর ছেড়েছেন মেসি। যে ন্যু ক্যাম্পে বড় হওয়া, বেড়ে ওঠা, সেই কাতালান ক্লাবকে বিদায় বলে পাড়ি জমাতে হয়েছে ফ্রান্সে। বেতনকাঠামো নিয়ে আর্থিক জটিলতায় মেসির চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি বার্সা। ফলে কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে দীর্ঘ ১৯ বছরের সম্পর্কে যবনিকা ঘটে আর্জেন্টাইন তারকার।
অবশ্য কোপা জয় বাদে ২০২১ এ আরেকটি বিশাল সাফল্য অঙ্কিত হয়েছে মেসির মুকুটে। রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি অর জেতেন এই ফুটবলার। নতুন ক্লাব পিএসজিতে সেই ব্যালন যখন উঁচিয়ে ধরেছেন, তখনও বুকে কাঁটা বিঁধেছে বার্সা সমর্থকদের।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ