টুকটাক কিছু সাফল্য থাকলেও ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। সব সংস্করণেই যেন নিজেদের খুঁজে ফিরেছে বাংলাদেশ। তবে সাকিব আল হাসানের বিশ্বাস, এই বাজে সময় পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দল। হতাশার আঁধারের পর আলোর মুখ দেখার আশায় আছেন এই অলরাউন্ডার। গত ১২ মাসে বাংলাদেশ খেলেছে ৭টি টেস্ট। যেখানে জয় কেবল একটি।
সঙ্গে ড্র আছে একটি। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে ড্র করেছিল দল, এরপর জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের মাটিতে জয়। সবশেষ ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র সিরিজ হার দিয়ে শুরু করে তারা। ওয়ানডেতে সবসময়ই বাকি দুই সংস্করণের চেয়ে শক্তিশালী বাংলাদেশ। এই বছর ১২ ওয়ানডে খেলে ৮টিতে জিতেছে দল।
যদিও বেশিরভাগ জয়ই ঘরের মাঠে। কিন্তু বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছে তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে। কোনোমতে প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে গিয়ে স্রেফ মুখ থুবড়ে পড়েছে তারা। মূল পর্বে একটি ম্যাচও জেতেনি মাহমুদউল্লাহর দল।
নতুন বছরের শুরুতে দলের সঙ্গে থাকছেন না সাকিব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বুধবার দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, সামনে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন, ‘হতাশাজনক, বিশ্বকাপে যেহেতু বড় একটা লক্ষ্য ছিল কিন্তু পূরণ করতে পারিনি, সেদিক থেকে হতাশাজনক। তবে এরকম আগেও হয়েছে যার পর আমরা খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। তো আশা থাকবে নতুন বছরে আমরা যেন ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারি এবং নিজেদের আরো ইমপ্রুভ করতে পারি।’ দলের পারফরম্যান্সে উন্নতি প্রয়োজন।
সাকিব জানালের সেই প্রয়োজনের কথা, ‘অনেক জায়গায়ই (উন্নতি) দরকার আছে। ভালো খেললেও দরকার আছে, খারাপ খেললেও দরকার আছে। চেষ্টা থাকবে যেসব জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন সবাই মিলে বসে যেন চিহ্নিত করা যায়। সেসব জায়গায় যেন আমরা উন্নতি করতে পারি।’
নিউজিল্যান্ডে থাকা সতীর্থদের সাহস দিলেন সাকিব। বললেন, কন্ডিশন কঠিন হলেও সেখানে রান পাওয়া যায়, ‘ব্যাটিংটাও ওখানে ভালো করা যায়। এমনকি শেষবার অনেকেই একশ’ করেছে। তামিম, রিয়াদ ভাই, সৌম্য সবাই একশ’ করেছে। ওখানে আসলে রান করা যায়, এই বার্তাটা থাকবে সবার আগে।’
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ