ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাফুফের সামনে ফিফার টোপ

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০১

উয়েফা ও কনমেবল নিজেদের মতো করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাইছে। ফুটবলের সবচেয়ে সফল দুই অঞ্চল নিজেদের সেরা দলগুলোকে নিয়ে আয়োজন করতে চাইছে নতুন নেশনস লিগ। আর তাদের সে প্রচেষ্টা আটকাতে লোভনীয় প্রস্তাব নিয়ে হাজির হচ্ছে ফিফা।

দুই বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইছে তারা। ফুটবলারদের ক্লান্ত করে তোলার এ প্রস্তাবে সব ফুটবল ফেডারেশন যেন রাজি হয় সে জন্য লোভনীয় এক প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে ফিফা। বর্তমান সংস্করণ থেকে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনে রাজি হলে সব ফেডারেশনকে আগামী ৪ বছরে বাড়তি ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ১৩৭ কোটি টাকা দেবে ফিফা!

সপ্তাহের শুরুতেই উয়েফা আর কনমেবল অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৪ সাল থেকে নেশনস লিগে যোগ দেবে লাতিন আমেরিকার ১০ দল। অর্থহীন প্রীতি ম্যাচের বদলে উয়েফা ন্যাশনস লিগের জন্ম দিয়েছে দর্শক আগ্রহ বাড়াতে।

প্রাথমিক ধাক্কা ও অনাগ্রহ কাটিয়ে এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে নেশনস লিগ। এখন প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে, নেশনস লিগের শীর্ষ ধাপ অর্থাৎ ১৬ দলের সঙ্গে যোগ দেবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ কনমেবলের ৬ দল।

অর্থাৎ ইউরোপ ও কনমেবলের শীর্ষ ছয় দলকে দুই বছর পরই দেখা যাবে একটি টুর্নামেন্টে। এত দিন যেটা বিশ্বকাপেই শুধু দেখা যেত। এখন পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপের সব শিরোপাই জিতেছে এ নির্দিষ্ট দেশগুলো। আর বিশ্বকাপের চেয়েও এই নেশনস লিগের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি থাকবে।

কারণ, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া বা উত্তর আমেরিকা থেকেও দল থাকে বিশ্বকাপে। এতে ইউরোপের সব সেরা দল বিশ্বকাপে জায়গা পায় না। দক্ষিণ আমেরিকার ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু নেশনস লিগ সে ঝামেলাও দূর করে দিচ্ছে। বিশ্বের সেরা ২২ দলের অংশগ্রহণ মানেই তো প্রতিটি ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্ফুলিঙ্গ ছড়াবে।

উয়েফা ও কনমেবলের এমন সিদ্ধান্তে ফিফাই ভূমিকা রাখছে। জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সভাপতি হওয়ার পর থেকেই ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানোর পথে হেঁটেছেন। দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব তারই চূড়ান্ত সীমা। যেখানে গিয়ে উয়েফা ও কনমেবলের মনে হয়েছে, ‘যথেষ্ট হয়েছে!’ এমনিতেই এ দুই অঞ্চলের ফুটবলাররা সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন।

দুই মহাদেশই দুই বিশ্বকাপের মধ্যবর্তী সময়ে ইউরো ও কোপা আমেরিকা আয়োজন করে। এখন দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ হলে সে টুর্নামেন্ট নিয়ে তো মানুষের কোনো আগ্রহই থাকবে না। দুই মহাদেশীয় সংস্থাই হুমকি দিয়ে রেখেছিল, এমন কোনো প্রস্তাব দেয়া হলে তারা বিশ্বকাপে অংশ নেবে না। কিন্তু ফিফাও জানে আর্থিকভাবে লোভনীয় এমন এক প্রতিযোগিতা থেকে বিরত থাকা কঠিন। তাই ফিফা নিজেদের প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ