কেটে গেছে শঙ্কা। নিউজিল্যান্ডে সবশেষ করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এসেছে বাংলাদেশ দলের সবার। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষে তাদের অনুশীলনে ফেরার পথ খুলে গেছে। গতকাল বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের ‘টিম ডিরেক্টর’ খালেদ মাহমুদ জানান, আজ থেকে অনুশীলন করতে পারবেন তারা।
বিসিবি পরিচালক সুজন বলেন, ‘গতকাল (রোববার) আমাদের একটি কোভিড পরীক্ষা ছিল এখানে। আজ (গতকাল) সকালে ফল এসেছে, আমরা সবাই নেগেটিভ। এই নেগেটিভ হওয়ার কারণে আমরা এখান থেকে আজ বের হতে পারব এবং অনুশীলনে যেতে পারব। কাল সকাল সোয়া ১০টা থেকে আমাদের অনুশীলন শুরু হবে লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে, যেখানে আমরা জিমের সুযোগটাও পাব।’
নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টাইন পর্ব বেশ কঠোর। তবে নেগেটিভ হয়ে এই পর্ব শেষ করা গেলে স্বাভাবিকভাবেই সব করা যায়। তখন কোনো বিধিনিষেধ থাকে না। মাহমুদের আশা, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেলে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ভালো হবে, ‘অনুশীলন শেষে আমরা হোটেলে উঠে যাব। এরপর আমরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারব, ট্রেনিং করতে পারব, সবই করতে পারব। নিজেদের তৈরি করতে পারব প্রথম টেস্ট ম্যাচের জন্য। তো দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশা, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন এখানে সুস্থ থাকি এবং ভালো একটি সিরিজ খেলতে পারি।’
গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ টেস্ট দল। দুবাই থেকে একই ফ্লাইটে নিউজিল্যান্ড যাওয়া এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়লে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা। ওই যাত্রীর কাছাকাছি থাকা সফরকারীদের ৯ সদস্যকে দেয়া হয় ইয়েলো ব্যান্ড।
গত বছর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করলেও এবার বিসিবির বিশেষ সুপারিশে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনের অনুমতি দেয় নিউজিল্যান্ড স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বিমানে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দলটির বেশ কয়েক ক্রিকেটার কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলনে নামেন। কিন্তু এরপর আবার শুনতে হয় দুঃসংবাদ। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবার বন্দিজীবন কাটাতে হবে তাদের। এই বন্দিজীবন শেষ হচ্ছে মুমিনুল হকদের। করোনাভাইরাস টেস্টে নেগেটিভ আসায় ২১ তারিখ থেকেই অনুশীলনে নামতে পারবে গোটা দল।
তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথকে পাচ্ছে না সফরকারীরা। হোটেল থেকে এই লঙ্কানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কোভিড সেন্টারে। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি। অন্য ১৯ সদস্যকে দেয়া হয় ব্লু ব্যান্ড। এই দলের সদস্যদের কোয়ারেন্টিন শেষ হয় ইয়েলো ব্যান্ড পাওয়াদের তিন দিন আগে।
শুরুতে তাদের অনুশীলন করার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এক দিন পরেই তাদের সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় নিউজিল্যান্ড স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ১৯ জনকেও নেয়া হয় ইয়োলো ব্যান্ডের আওতায়। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পর তারা মুক্তি পেলেন এই বিপত্তি থেকে। এখন শুরু হবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে হারের চক্র থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি। এবার দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ, এর প্রথমটি শুরু হবে ১ জানুয়ারি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ