তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টপ অর্ডার ব্যাটারদের সৌজন্যে পাকিস্তানকে বিশাল লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাটে সে লক্ষ্যই হয়ে গেল সহজ। সঙ্গে আসিফ আলীর দারুণ ফিনিশিংয়ে সহজ জয়ই পেয়ে যায় বাবর আজমের দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৭ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাবর আজমের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের সূচনাটা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর গড়েন ১৫৮ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙেন ওডেয়ান স্মিথ। বাবরকে রোমারিও শেফার্ডের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
এরপর স্কোরবোর্ডে ২৬ রান যোগ করতে আরেক ওপেনার রিজওয়ানকে নিকোলাস পুরানের তালুবন্দি করে ফেরান ডোমিনিক ড্রেকস। ব্যক্তিগত ১২ রানে ফখর জামানকে ফেরান শেফার্ড। তবে তাতে লাভ হয়নি। বাকি কাজ ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে শেষ করেন আসিফ আলী।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। ৪৫ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বাবর। ৫৩ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান অধিনায়ক। শেষ দিকে ৭ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন আসিফ। ২টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও শামার ব্রুকস। এরপর তৃতীয় উইকেটে ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে ৯৩ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তাতে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় সফরকারীরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন পুরান। ৩৭ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন অধিনায়ক। ব্রুকসের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। ৩১ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। ২১ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় কিং করেন ৪৩ রান। ২৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রাভো।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১টি উইকেট পেয়েছেন শাহনেয়াজ দাহানি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ