ইনিংস ঘোষণা করার আগে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেছেন ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনে মিলে জুটি বাঁধেন ১০৩ (১৮৪) রানের। দুই জনের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলেছে পাকিস্তান।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের ফলাফল শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা সময় বলে দেবে। তার আগে প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
প্রথম দিনে ৫৭ ওভার খেলা হয়েছিল আলো স্বল্পতায় দিন শেষের আগে। প্রথম দিনের প্রথম সেশনে দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ২৫ রান ও আবিদ আলী খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। দুজনকেই প্রথম দিনে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৬১ রান।
দ্বিতীয় দিনে খেলা হয় মাত্র ৬ ওভার ২ বল। এদিন কোনও উইকেট না হারিয়ে পাকিস্তান তুলে ১৮৮ রান। তৃতীয় দিনে মাঠে গড়ায়নি একটি বলও।
চতুর্থ দিনে আউট ফিল্ড ভেজা থাকার কারণে খেলা শুরু হয় নির্দিষ্ট সময়ের ৫০ মিনিট পর। ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম ও আজহার আলী খেই হারান দ্রুত। খেলা শুরুর ষষ্ট ওভারের পঞ্চম বলে আজহার আলী ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে এবাদত হোসেনের বলে। আজহার ফেরেন ১৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেল।
আজহারের বিদায়ে জুটি ভাঙে ১২৩ রানের। এরপর বাবর আজমকে ফেরান পেসার খালেদ আহমেদ। পাকিস্তান অধিনায়ককে ৭৬ (১২৬) রানে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট নেয়ার স্বাদ নেন খালেদ।
এরপর এবাদতের বলে এলবিডব্লু হলেও রিজওয়ান বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে আবারও এওবিডব্লু হয়ে রিভিউ নেন রিজওয়ান। তাতেও বেঁচে যান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানে বাবর ও ৫০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন ফাওয়াদ।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ