আর্জেন্টিনা ছেড়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় এসেছিলেন। এরপর এখান থেকেই ধীরে ধীরে ফুটবলের মহাতারকাদের একজন হয়ে ওঠেন লিওনেল মেসি। বলতে গেলে কাতালান শহরটি তার আসল ঠিকনা ছিলো। ২১ বছর যে শহরে কাটিয়েছেন, অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন রেখে এসেছেন; সেখানে স্বাভাবিকভাবে নিজের ব্যবসাও বড় করেছেন।
মেসির বিশাল অঙ্কের মুনাফা অর্জনের অন্যতম অবলম্বন হোটেল ব্যবসা। স্পেনের বিভিন্ন শহরে রয়েছে তার বেশ কয়েকটি হোটেল। সেগুলোরই একটি ‘মিম সিটগেস’ গুঁড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্পেনের আদালত। ৭৭টি শয়নকক্ষ বিশিষ্ট চার তারকা হোটেলটি বার্সেলোনা নগরীর নির্মাণ মানদণ্ড মেনে তৈরি করা হয়নি বলেই রায় গেছে মেসির বিরুদ্ধে।
২০১৭ সালে ‘ম্যাজেস্টিক গ্রুপ’ নামে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০০ ফুট ওপরে হোটেলটি নির্মাণ করেছিল। এতে মেসি ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৩০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করেছিলেন।
‘ম্যাজেস্টিক গ্রুপ’ নির্মিত আরও দুটি হোটেলের মালিক মেসি। একটি ইবিজা দ্বীপে, অন্যটি মায়োর্কায়। এই দুটি হোটেল অবশ্য নিয়ম মেনেই নির্মাণ করা হয়েছে। তবে বার্সেলোনায় মেসি যে বাড়িতে থাকতেন, সেটির অদূরে নির্মিত ‘মিম সিটগেস’ হোটেলটিতে বেশ কয়েকটি অসংগতি পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্প্যানিশ দৈনিক এল কনফিডেনশিয়ালের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, মেসির ‘মিম সিটগেস’ হোটেল কক্ষের বারান্দাগুলো অনেক বড়। অথচ পুরো ভিত এগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে। হোটেলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ঠিক নেই।
শুধু হোটেলই নয়, নির্মাণ নীতি (বিল্ডিং কোড) না মানায় বার্সেলোনার টাউন হল ভবনও ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মেসি এসব ব্যাপারে নাকি আগে থেকেই অবগত। তাই হোটেল রক্ষার্থে কোনো আপিল করবেন না।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ