ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশনার সময়: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ২৩:৩৮ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ২৩:৫১

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে অজিরা। নিউ জিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া।

রোববার রাতে দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭২ রানের পুঁজি পেয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের অতিমানবীয় ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসটি ছিল চোখ ধাঁধানো। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের পাল্টা জবাবে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া শেষ করে ৭৭ বল আগে।

ওয়ার্নার ৫৩ রানে বিদায় নিলেও মার্শ ৭৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। মার্শের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ার পথে ২৮ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলে নিউজল্যান্ড। দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ড্যারিল মিচেল ভালো শুরুর আভাস দেন। তবে ওপেনিং জুটি থিতু হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়াকে স্বস্তি এনে দেন জশ হেইজেলউড।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হেইজেলউডের অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা লেংথ বল ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন মিচেল। কিন্তু তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। অসি কিপার ম্যাথু ওয়েড ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিতে ভুল করলেন না। দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, ১১ রান করে আউট হন সেমিফাইনালের জয়ের নায়ক মিচেল।

মিচেল ফেরার পর জুটি বাধেন উইলিয়ামসন ও গাপটিল। তবে শুরুর ধাক্কার পর রানের গতি কমে যায় কিউইদের। পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে তাদের স্কোর বোর্ডে ওঠে ৩০ রান। এরপরও রান নিতে ধুঁকছিলেন দুই টপঅডার।

এর মধ্যে ১২তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন গাপটিল। জাম্পার ওই ওভারের প্রথম বলে ছক্কার চেষ্টা করেন গাপটিল। তবে টাইমিং ঠিক হয়নি। মিড উইকেট সীমানায় ক্যাচ উঠে যায়। সেখানে থাকা স্টয়নিস লুফে নিতে ভুল করলেন না। ওপেনিংয়ে নেমে ভালো শুরু আভাস দিয়েও সফল হলেন না গাপটিল। রান নিতে খুব ধুঁকেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ফরে গেছেন ৩৫ বলে ২৮ রান করে। দলীয় ৭৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

গাপটিল ফেরার পর রানের গতি অবশ্য বাড়ান অধিনায়ক উইলিয়ামসন। টানা দুই ছক্কায় ৩২ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ১৪তম হাফসেঞ্চুরি। হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন কিউই অধিনায়ক। শুরুর দিকে মন্থর থাকা রানের চাকা দ্রুতই বাড়ান তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন গ্লেন ফিলিপস। এই জুটি নিউজিল্যান্ড পায় ৬৮ রান। ১৮তম ওভারে ফিলিপসকে ফিরিয়ে এই শক্ত জুটি ভাঙেন হেইজেলউড। বল সীমানায় উড়াতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফিলিপস। ১৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি।

ফিলিপসের পর ভাঙে উইলিয়ামসনের প্রতিরোধও। দুর্দান্ত খেলতে থাকা উইলিয়ামসনকেও আউট করেন হেইজেলউড। রানের গতি বাড়াতে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় ক্যাচ তুলে দেন কিউই তারকা। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১০ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৮৫ রান করে ফেরেন উইলিয়ামসন। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

উইলিয়ামসন ফেরার পর শেষ দিকে জিমি নিশাম ও টিম সেইফার্টদের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ১৭২ রান করে নিউজিল্যান্ড। এদিন আর শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি নিশাম। ৭ বলে ১৩ রান করেন নিশাম। ৮ রান করেন সেইফার্ট।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে মাত্র ১৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন জশ হেইজেলউড। ২৬ রান খরচায় একটি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। সবচেয়ে বেশি খরুচে বোলিং করেছেন মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন এই পেসার।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ