চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততেই হতো অস্ট্রেলিয়াকে। ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের ব্যাটে সেই কাজ ভালোভাবেই করেছে অজিরা। বড় জয়ে সেমির পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। আবু ধাবিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করেছিল উইন্ডিজ। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা। বাকি ছিল আরো ২২ বল। অবশ্য এই জয়ের পরও অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটি ইংল্যান্ড জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই পরের রাউন্ডে যাবে অজিরা। কিন্তু প্রোটিয়ারা জিতলে আসবে রান রেটের ব্যবধান।
এই বিষয় জেনেই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওপেনিংয়ে তার অপর সঙ্গী ফিঞ্চ এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি। ১১ বলে ৯ রানের এক ইনিংস খেলে ফেরেন অজি অধিনায়ক।
মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন ওয়ার্নার। জয় থেকে ১ রান দূরে থাকতে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আউট হন মার্শ। অন্যদিকে ওয়ার্নার অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাট হাতে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। দুজনেই শুরুটা করেন দারুণ। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট হারান গেইল।
সাজঘরে ফেরার আগে ৯ বলে ১৫ রান করেন গেইল। তিনি ফেরার পর দ্রুত আরো ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিকোলাস পুরান ৪ রানে ফিরলেও শূন্যে ফিরে যান রস্টন চেজ।
এমতাবস্থায় ৩৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন লুইস ও শিমরন হেটমেয়ার। আউট হওয়ার আগে এই দুই ব্যাটার খেলেন যথাক্রমে ২৬ বলে ২৯ ও ২৮ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ডোয়াইন ব্রাভো ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। উইন্ডিজের হয়ে শেষ দিকে একাই লড়ে যান অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। তার ৪৪ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় ক্যারিবীয়রা।
এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই চার উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড। এছাড়া প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা ও মিচেল স্টার্ক একটি করে উইকেট শিকার করেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ