এত কাছে তবু এত দূরে! দারুণ এক ইনিংস খেলেও মার্টিন গাপটিলের আক্ষেপটা রয়েই গেলো। মাত্র ৭ রানের জন্য যে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান হতে পারলেন না!
গাপটিলের উইলো থেকে বেরিয়ে এলো ৫৬ বলে ৯৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যাতে আবার চারের চেয়ে ছক্কাই ছিল বেশি (৬ বাউন্ডারির সঙ্গে ৭ ছক্কা)।
মূলত ডানহাতি এই ওপেনারের ব্যাটে চড়েই ৫ উইকেটে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। জিততে হলে স্কটল্যান্ডকে করতে হবে ১৭৩।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল নিউজিল্যান্ডের। দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর ড্যারেল মিচেল ২৫ বলে গড়েন ৩৫ রানের জুটি।
পঞ্চম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন সাফইয়ান শরিফ। স্কটিশ পেসার পাঁচ বলের মধ্যে তুলে নেন মিচেল আর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে।
১১ বলে ১৩ করে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন মিচেল, লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বল গ্ল্যান্স করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন উইলিয়ামসন (০)।
পাওয়ার প্লে’র ঠিক পরেই আরেকটি উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। এবার রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ক্রসের আরেকটি ক্যাচ ডেভন কনওয়ে (১)। ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
তবে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে সেই চাপ দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেন মার্টিন গাপটিল। উইকেটে সেট হয়েই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন কিউই ওপেনার, ফিলিপস কেবল সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত তাদের ৭২ বলে ১০৫ রানের ঝড়ো জুটিটি ভাঙে ফিলিপসের আউটে। ধীরগতির ব্যাটিং করে (৩৭ বলে ৩৩) ফিলিপস ডিপমিডউইকেটে ব্র্যাড হোয়েলকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন।
গাপটিলের সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার। কিন্তু সেই সুযোগ আর দেননি হোয়েল। পরের বলেই মারকুটে এই ওপেনারকেও হতাশায় ডোবান স্কটিশ পেসার। ৫৬ বলে ৯৩ রান করে লংঅনে ধরা পড়েন গাপটিল।
স্কটিশ বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাফইয়ান শরিফ আর ব্র্যাড হোয়েল।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ