হারলে সব শেষ। জিতলে (বড় জয়) দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন জিঁইয়ে থাকবে। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে মঙ্গলবার আমিরাত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। কয়েন ভাগ্যের সহায়তায় ম্যাচটিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওপেনার নাইম ও সাকিবের বদৌলতে ১৫৩ রান দাঁড় করায় টাইগাররা।
জবাবে খেলতে নেমে নির্ধাতি ২০ ওভারে ১২৭ রানে থেমে যায় ওমান। অর্থাৎ ম্যাচে ২৬ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন টিম টিম করে জ্বলছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর।
মাঝারি (১৫৩) পুঁজি নিয়ে খেলতে নেমে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেটের দেখা পান মুস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আকিব ইলিয়াসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তার ওভারেই জতিনদারের আরেকটি ক্যাচ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
যদিও সেই ওভারেই ১৮ বলে ২১ রান করা ক্যাশাপ প্রজাপতিকে আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান মুস্তাফিজ। ১৬ বলে ১২ রান করা জিশান মাকসুদকে ফিরিয়েছেন শেখ মেহেদী। ওমানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে দারুণ এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ।
একপ্রান্ত আগলে রাখা জতিনদার সিংকে আউট করেছেন সাকিব। এই টাইগার স্পিনারের বল ডিপ স্কয়ারে উড়িয়ে মেরেছিলেন জতিনদার। সেই ক্যাচ অনায়াসে লুফে নিয়েছেন লিটন। এরপর আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি ওমান। দ্রুত তারা আরও বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে।
সন্দীপ গাউদ কভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সাকিব নিজের শেষ ওভার করতে এসে ফিরিয়েছেন আয়ান খান (৯) ও নাসিম খুশিকে (৪)। নিজের তৃতীয় ওভারে কালিমউল্লাহকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান মুস্তাফিজ। একই ওভারে ফায়াজ বাটকেও সাজঘরে পাঠান তিনি। তাদের সংগ্রহ থামে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে।
এর আগে এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের পরিবর্তে এই ম্যাচে খেলছেন নাইম শেখ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নড়বরে ছিলেন লিটন দাস ও নাইম শেখ। এদের কেউই শুরুতে হাত খুলে খেলতে পারেননি।
ব্যক্তিগত ৪ রানে লিটন বিলাল খানের বলে ডিপ স্কয়ারে জীবন পান। অবশ্য এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। পরের বলেই ৬ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারিটি আসে চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে। কালিমউল্লাহকে পয়েন্টে কাট করে এই চারের মার মারের বাঁহাতি এই টাইগার ওপেনার।
সাকিব আল হাসান নিয়মিত ওয়ান ডাউনে ব্যাট করলেও এই ম্যাচে তিন নম্বরে খেলানো হয়েছিল শেখ মেহেদীকে। যদিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। তাকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতি ক্যাচে আউট করেছেন ফায়াজ বাট। ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফায়াজের বলে সীমানার কাছে জীবন পেয়েছেন নাইম।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুজনই হাত খুলে খেলেছেন। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন। যদিও ৩০ বলে ৪২ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ফিরলেও ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাইম। নুরুল হাসান সোহান ৩ বলে ৩ রান করে ফিরে যান জিসান মাকসুদের বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে।
উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন আফিফ হোসেনও। তিনি ব্যক্তিগত ১ রানে কলিমউল্লাহর শিকার হয়েছেন। এরপর ধৈর্য্য হারিয়েছেন নাইমও। তিনি ৫০ বলে কলিমউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন।
মুশফিকুর রহিম ৮ নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। তিনি মাত্র ৫ বলে ৮ রান করে ফায়াজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। ঠিক পরের বলেই অহেতুক বড় শট খেলতে গিয়ে জতিনদর সিংয়ের হাতে। ১০ বলে ১৭ রান করে শেষ ওভারে বোল্ড হয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ