সাধারণ ওমানের আল আমিরাতে টস জয়ী দল আগেভাগে বোলিং সেরে নিতে চায়। ফ্যাক্ট শিশির। দ্বিতীয়ার্ধে বোলিংয়ের ঝামেলা এড়িয়ে টিপটপ থাকতে সব দলেরই প্রথম পছন্দ পরে ব্যাটিং। কিন্তু বাঁচা-মরার ম্যাচে ভিন্ন পরিকল্পনা বাংলাদেশের। মূল পর্বে যেতে তাদের চাই জয়, সে সঙ্গে বড় ব্যবধানে জয়। আর শুরুতেই সে ভাগ্য দেখা মেলে। টস জয়ে জিতে ব্যাটিং লুফে নেয় টাইগার অধিনায়ক। টার্গেট কমপক্ষে ১৭০-১৮০ স্কোর সৃষ্টি। আর ম্যাচ শুরুর আগে ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান ও বলে রেখেছিলেন, ‘আমি তো স্কোরবোর্ডে ১৭০ রান দেখতে পাচ্ছি।’ তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের পুঁজি ১৫৩ রানে গিয়ে ঠেকেছে।
বড় লক্ষ্যমাত্রার প্রথম প্রদক্ষেপে মাঠে নামেন লিটন দাস ও নাইম শেখ। এদের কেউই শুরুতে হাত খুলে খেলতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪ রানে বিলাল খানের বলে ডিপ স্কয়ারে জীবন পান লিটন। অবশ্য এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। পরের বলেই ৬ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারিটি আসে চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে। কালিমউল্লাহকে পয়েন্টে কাট করে এই চারের মার মারের বাঁহাতি এই টাইগার ওপেনার। সাকিব আল হাসান নিয়মিত ওয়ান ডাউনে ব্যাট করলেও এই ম্যাচে তিন নম্বরে খেলানো হয়েছিল শেখ মেহেদীকে। যদিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। তাকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতি ক্যাচে আউট করেছেন ফায়াজ বাট। ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফায়াজের বলে সীমানার কাছে জীবন পান নাইম।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’জনই হাত খুলে খেলেছেন। তবে ১৩.৩ ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন সাকিব। ফেরার আগে ব্যক্তিগত সংগ্রহ দাড় করান ৪২। এরপর নাইমকে সঙ্গ দিতে নামেন সোহান। ওপেনিংয়ে নামা লিটন কিংবা ওয়ানডাউনে নামা মেহেদীর মতো নামের সুবিচার করতে পারেননি। ৪ বল খেলে ৩ রান নিয়ে মাথা নিচু করে। একই অবস্থা আরেক তরুণ আফিফের। তিনি করেন ৫ বলে ১ রান।
ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হন আফিফ। একই ওভারের চতুর্থ বলে নাইমকেও ফেরান কলিমউল্লাহ। আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৫০ বলে ৬৪ রান করেন নাইম। তার এই ইনিংসের সুবাধেই মোটামুটি ফাইটিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। তিন তরুণকে আগে ব্যাটিংয়ে নামাতে গিয়ে শেষপর্যন্ত মুশফিককে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় আট নম্বরে। দারুণ এক স্কয়ার কাটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো কিছুর বার্তাই দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লেট কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন মুশফিক। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ৬ রান।
শেষদিকে বাংলাদেশকে দেড়শ পার করানোর কৃতিত্ব অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর। বিলাল খানের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি একটি করে চার-ছয়ের মারে ১০ বলে করেন ১৭ রান। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ২ ও তাসকিন আহমেদ ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওমানের আজকের সেরা বোলার বিলাল খান। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ফায়াজ।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ