ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলে এটা তাদের চতুর্থ শিরোপা।
শুক্রবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাড় করে। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিবদের কলকাতা। ২৭ রানের জয়ে আইপিএলের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলে চেন্নাই। আর তৃতীয় শিরোপা জেতা থেকে বঞ্চিত হয় কলকাতা।
ব্যাটিং ও বোলিং দুই দিকেই ব্যর্থ হয়েছেন কলকাতার বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। আর বল হাতেও খেয়েছেন বেদল পিটুনি। ৩ ওভার বল করে উইকেটশূন্য থেকে ৩৩ রান খরচ করেছেন এ বাঁহাতি।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। শুরুতে কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও পরে ঝড় তুলেন চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাটসম্যানরা। বিশেষত দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ফাফ ডু প্লেসিস।
৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ বলে ৮৬ রান করেন তিনি। অবশ্য ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফিরতে পারতেন তিনি। সাকিব আল হাসানের বলের লাইন মিস করেছিলেন তিনি। কিন্তু স্টাম্পিং করার জন্য বল হাতেই রাখতে পারেননি কলকাতার উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিক। শেষ অবধি ডু প্লেসিসই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।
৩ ছক্কায় রবিন উথাপ্পার ১৫ বলে ৩১ ও ২০ বলে মঈন আলীর ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৯২ রানের সংগ্রহ পায় চেন্নাই। কলকাতার পক্ষে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সুনীল নারিন। ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব।
চেন্নাইকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল কলকাতার। ওপেনার শুভমন গিল কিছুটা ধীরে খেললেও ভেঙ্কাটেশ আয়ার ছিলেন দুর্দান্ত। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে ৫০ রান করে আউট হন আয়ার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর মধ্যে একবার আউট হয়েছিলেন গিল। তবে রাইডু ক্যাচ নেওয়ার আগেই বল ডেড হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।
৪৩ বলে ৫১ রান করে ফেরেন গিল। তার বিদায়ের পরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কলকাতার ইনিংস। দুই ওপেনারের পর সর্বোচ্চ ২০ রান আসে দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা শিভাম মাভির ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে কলকাতা।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ