ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাহুলের ছক্কায় ফাইনালে সাকিবের কলকাতা

প্রকাশনার সময়: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:৩৬
সংগৃহীত ছবি

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসরের ফাইনালে সাকিবের কলকাতা নাইট রাইডার্স।

বুধবার রাতে শারজাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে তারা। আগামী শুক্রবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস।

নকআউট ম্যাচ সম্ভবত এটাকেই বলে। নয়তো সবাই যেখানে সহজেই কলকাতার জয় দেখছিল, সেখানে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে হারের শঙ্কা জেগে বসেছিল দলটির সমর্থকদের। ভাগ্যিস, ক্রিজে তখনো রাহুল ট্রিপাটি। ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে এসে ছক্কা মেরে কলকাতাকে ফাইনালে তুললেন তিনি।

১৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন কেকেআরের দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৬ রান। তখন ৫৫ রান করে আউট হয়ে যান আয়ার। এরপর দলীয় ১২৩ রানের মাথায় আউট হন নিতিশ রানা। ওই মুহূর্তে কলকাতার জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৩ রান, আর হাতে ৮ উইকেট এবং ২৪ বল। সেই সময়ই ম্যাচটা প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিল দিল্লির বোলাররা। পরবর্তী ৭ রানের মধ্যে আরও ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে কেকেআর। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, শেষ দুই বলে জয়ের জন্য ৬ রান দরকার। ঠিক তখনই ছক্কা মেরে দলকে ফাইনালে তুলেন রাহুল।

এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তার এই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেটা পুরো ম্যাচে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এদিন, দিল্লির ব্যাটারদের শুরু থেকেই চেপে ধরে কলকাতার বোলাররা।

প্রথম ওভারেই সাকিবের হাতে বল তুলে দেন মরগান। তিনিও সেটির প্রতিদান দিয়েছেন। কোনো উইকেট না পেলেও মাত্র এক রান খরচ করেছেন। অবশ্য নিজের কোটার পরের দুই ওভারে একটু খরুচে ছিলেন। তবে শেষ ওভারে এসে সেটি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে উইকেট শূন্য থেকে রান দিয়েছেন ২৮। বাবি বোলারদের মধ্যে বরুন চক্রবর্তী ২টি এবং লকি ফার্গুসন ও শিভাম মাভি নেন একটি করে উইকেট। আর তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানে থেমে যায় দিল্লির ইনিংস।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ