আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ১ রান নিয়ে কলকাতার জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তিনি ৬ বলে ১ চারে ৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৭ বলে ৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ইয়ান মরগান।
এই জয়ে আইপিএল ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখলো কলকাতা।
শুরুতে হাতে বল নিয়ে বিরাট কোহলিদের ইনিংস একাই কাই ধসিয়ে দেন কেকেআরের ক্যারিবীয় স্পিনার সুনীল নারিন।
৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে শিকার করেন চারটি উইকেট। নারিনের এই বোলিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের লো স্কোরিং টার্গেট ছুড়ে দিতে পারে ব্যাঙ্গালুরু।
আর ব্যাট হাতে নেমে ব্যাঙ্গালুরুর মামুলী টার্গেট ২ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে কলকাতা।
৪ উইকেটে ব্যাঙ্গালুরুকে হারাল কেকেআর।এ জয়ে কলকাতা চলে গেছে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। সেখানে অপেক্ষায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
আর হেরে বিদায় নিয়ে শেষ হলো কোহলির আইপিএল অধিনায়কত্বের অধ্যায়।
ম্যাচে জয়সূচক রানটি এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট ছুঁয়ে।
ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ও ম্যাচের শেষ ওভারের চতুর্থ বলটি ঠুকে দিয়ে অধিনায়ক মরগানের সঙ্গে দৌড়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান সাকিব।
শেষ ওভার প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। আর ওভারের প্রথম বলটিই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় অনেকটা নিশ্চিত করেন সাকিব।
৫ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। পর পর দুই বলে দুটি সিঙ্গেলস আসলে স্কোর লেভেল হয়। ৪র্থ বলে আরো একটি সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ জেতান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।
বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি সাকিব। ৬ বলে খেলে অপরাজিত ৯ রান করেছেন। অধিনায়ক মরগান অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে।
টপঅর্ডারের সবাই ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ওপেনার শুবমান গিল ১৮ বলে ২৯ এবং ওপেনার ভেঙ্কটশ আইয়ার ৩০ বলে ২৬ রান করেন।
ব্যাটিংও দুর্দান্ত খেলেছেন সুনীল নারিন। মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। তার সঙ্গী হয়ে নিতিশ রানা ২৫ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।
ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে মোহাম্মদ সিরাজ, হার্শেল পাটেল ও যুজবেন্দ্র চাহাল প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ