ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নতুন মেয়াদে পাপনের নব অঙ্গীকার 

প্রকাশনার সময়: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ২১:৩৮

নির্বাচনের দিনই সবকিছু ছিল স্পষ্ট। তবে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। সেটাও হয়ে গেল। রেকর্ড চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন।

দায়িত্ব গ্রহণের পরই দেশের ক্রিকেটকে আরো এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করলেন তিনি।

বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হয় বুধবার। সেদিন বেসরকারিভাবে ফলাফল জানানোর পর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। এ দিনই নতুন বোর্ডের প্রথম সভায় নাজমুলকে নির্বাচিত করা হয় বোর্ড সভাপতি।

এই নিয়ে টানা চতুর্থবার বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পেলেন নাজমুল হাসান। ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রথমবার দায়িত্ব নেন তিনি সরকারের মনোনয়নে। পরের বছরের অক্টোবরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এরপর ২০১৭ সালেও নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

এবার অবশ্য প্রথমবারের মতো পরিচালক পদে নির্বাচন করে আসতে হয়েছে তাকে। আগের দুই নির্বাচনে সরাসরি বোর্ড পরিচালক হয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে। এবারের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-২ থেকে ৫৭ ভোটের ৫৩টি পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। আগামী চার বছরের জন্য দেশের ক্রিকেটের দেখভালের দায়িত্ব এখন পাপনের হাতে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পাপন। যেখানে দেশের ক্রিকেট নিয়ে বেশ কয়েকটি অঙ্গীকার করেছেন তিনি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনটি কাজ করতে চান তিনি।

পাপন বলেন, ‘আমি তিনটি কাজকে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিচ্ছি। নাম্বার ওয়ান হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। পূর্বাচলের এ স্টেডিয়ামের কাজ যতটা সম্ভব দ্রুত চালু করা। দ্বিতীয় হলো, সংবিধানে পরিবর্তন আনা। আর তৃতীয় হলো আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করা।’

দীর্ঘদিন বিসিবির সভাপতি পদে থাকলেও এখনো অনেক কাজ বাকি বলে পাপন জানান, ‘আজ আমাদের পরিচালক পর্ষদ সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেছি আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি। এতদিন অনেক কাজ করেছি এটা মনে করা হবে ভুল। কারণ এখন আরো কঠিন সময় আসছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। পূর্বাচলের ঐ স্টেডিয়াম আমাদের যত দ্রত সম্ভব চালু করতে হবে।’

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘ঐ স্টেডিয়াম নির্মাণের ওপর আইসিসি ইভেন্টের স্বাগতিক হওয়া না হওয়া অনেকখানি নির্ভর করবে। তার ভাষ্য, ‘আমরা যে আইসিসি ইভেন্টে আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এই স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাব না। তাই এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।’

দ্বিতীয় লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হলো সংবিধান। পরিচালকদের বলেছি, সংবিধানে কোথায়, কী পরিবর্তন আনা যায় তা খুঁটিয়ে দেখতে। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবে।’

সংবিধানে পরিবর্তন আনার সম্ভাব্য জায়গাও চিহ্নিত করে ফেলেছেন তিনি। তার প্রস্তাব, ‘আমাদের এখানে এতগুলো ক্লাব অংশ নেয়। অথচ ক্লাবগুলোর ভোট নাই। এমন সব ভোটারের নাম দেখি ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্কই নেই। এখানে একটা পরিবর্তন আনা দরকার। এটা একটা উদাহরণ দিলাম, এরকম আরো আছে।’

এছাড়া আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা তৈরির কাজ বেগবান এবং সঙ্গে কাঠামোগত উন্নয়নের চিন্তাও পাপনের মাথায়, ‘ক্রিকেট একাডেমি এরই মধ্যে এক জায়গায় হয়েছে, আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়সভিত্তিকের জন্য ডেডিকেটেড একাডেমি হবে।’

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ