পরবর্তী ফিফা বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র ১ বছর ৫ মাস। ২৩তম বিশ্বকাপের আসর বসবে যৌথভাবে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাতে। ওই আসরটিই নিজের শেষ বিশ্বকাপ বলে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র।
যদিও চোটকে পাশ কাটিয়ে তার জন্য টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেয়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, নেইমার না থাকলে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিততে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কিংবদন্তি রোমারিও ডি সুজা।
২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হলে নেইমারের বয়স হবে ৩৪। সিএনএন স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার নিজেও বলেছেন, 'আমি জানি, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। জাতীয় দলে থাকতে এবং সেখানে খেলার জন্য আমি সব রকম চেষ্টা করব।'
বিশ্বকাপ সরাসরি খেলতে হলে ব্রাজিলকে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে হবে। লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে। শীর্ষ ছয়ে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার সুযোগ থাকলেও ব্রাজিলের মতো দলের জন্য এই অবস্থান বেশ বিব্রতকর।
২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স উত্থান-পতনে ভরা। কোচ দরিভাল জুনিয়রের অধীনে দলটি এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৬ জয়, ৭ ড্র এবং ২টি হারের মুখ দেখেছে। তবে নেইমার দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, 'আমাদের তরুণ এবং প্রতিভাবান ফুটবলাররা আছে। আমরা এখন কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে নেই, তবে আমাদের হাতে সময় আছে। আমরা আবারও বড় কিছু অর্জন করব।'
২০২৫ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের সামনে বাছাইপর্বে ৬টি ম্যাচ রয়েছে। ২১ মার্চ কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন বছরের বাছাই অভিযান শুরু করবে ব্রাজিল। এরপর ২৬ মার্চ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে সেলেসাওরা।
তবে শেষ বিশ্বকাপে নেইমার কতটা ফিট থাকবেন এবং তার নেতৃত্বে ব্রাজিল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা, সেটিই এখন ব্রাজিল সমর্থকদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ