বিপিএলের দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ২৮ রানে হারিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। টানা দুই জয়ের পর প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল মেহেদী হাসান মিরাজরা। অন্যদিকে, খুলনাকে হারিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো রাজশাহী।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করে খুলনাকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল রাজশাহী। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে থাকতে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা। এতে ২৮ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায়। ইনিংসের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়াম বোসিসটো (৬)। এদিন ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেননি মিরাজও। ৭ বলে ১ রান করেন তিনি। তবে অপর প্রান্ত থেকে রান তোলোর চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার নাঈম। তবে ২৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর খুলনা শিবিরের হাল ধরার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ৩০ বলে ৩৩ রান করে আফিফ এবং ১১ বলে ১৮ রান করে আউট হন অঙ্কন।
পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু ৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আবু হায়দার। এতে দলীয় ১১২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা।
শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ (৯), নাসুম আহমেদ (১৮) ও সালমান এরশাদ ৫ রানে আউট হলে ৩ বল হাতে থাকতে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা। এতে ২৮ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী।
রাজশাহীর হয়ে বল হাতে তাসিকন আহমেদ, সোহাগ গাজী ও রায়ার্ন বার্ল দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও জিসান আলম, এসএম মেহরাব, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীকে শুরু এনে দেন মোহাম্মদ হারিস এবং জিশান আলম। দুজনের ব্যাটে ভর করে ৪৪ রান তুলতে পারে রাজশাহী। ২০ বলে ২৭ রান করে হারিস আউট হন।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। ৭ রান করে এই ডান হাতি ব্যাটার। ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন এসএম মেহরাব। এরপর ২২ বলে ২৩ রান করে জিশান আউট হলে দলীয় ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারায় রাজশাহী।
এরপর রাজশাহী শিবিরের হাল ধরেন ইয়াসির আলী ও রায়ান বার্ল। তাদের ব্যাটে ভর করে ১৮তম ওভারে ১৫০ রানের কোটা পার করে রাজশাহী। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি ইয়াসির। ২৪ বলে ৪১ রান করে বোল্ড হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর ব্যাটে এসে ৪ বলে ১৪ রান তোলেন আকবর।
শেষ পর্যন্ত আকবরের ৯ বলে ২১ রান এবং রায়ান বার্লের ২৯ বলের অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে ১৭৮ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহী।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ