রান পেলেন তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তারা ঠিক টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ব্যাটিং করতে পারেননি। যেমনটি করলেন কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় এই ব্যাটারের ৭ ছক্কার বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৭ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে ফরচুন বরিশাল। অর্থাৎ জিততে হলে রংপুর রাইডার্সকে করতে হবে ১৯৮।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব দেখেশুনে শুরু করে ফরচুন বরিশাল। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম ৮ বলে কোনো রানই নেননি।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও ফরচুন বরিশাল। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলে বরিশাল। তবে ফিফটি তুলতে পারেনি দুজনেরই কেউই।
১১তম ওভারে কামরুল হাসানের হাতে বল তুলে দেন সোহান। আর প্রথম বলে শান্তকে ক্যাচ আউট করে অধিনায়কের বিশ্বাসের প্রতিদান দেন কামরুল। ৩০ বলে ৪১ রান করে শান্ত। একই ওভারের শেষ বলে তামিমকেও তুলে নেন কামরুল। ৩৪ বলে ৪০ রান করেন দেশসেরা এই ওপেনার।
এরপর ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ২ বলে ৪ রান করে সাইফউদ্দিনের করা স্লো ডেলিভারিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে পিচে এসেই বলে বলে বাউন্ডারি মারতে থাকেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৬ বলে ২০ রান করে রান আউট হন এই পাক অলরাউন্ডার। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন মায়ার্স। শেষ পর্যন্ত মায়ার্সের ২৯ বলের অপরাজিত ৬০ রানে ভর করে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পায় বরিশাল।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন কামরুল হাসান। এছাড়া আকিভ জাভেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ