মেলবোর্ন টেস্টে যশস্বী জয়সওয়ালকে আউট দেওয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেবার ভারতীয়দের তোপের মুখেই পড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। সেই সৈকত আবারও আলোচনায়। এবার বিরাট কোহলিকে ‘বাঁচিয়ে’ দেওয়ায় অবদান রেখে চর্চায় চলে এলেন তিনি।
আজ শুক্রবার সিডনিতে শুরু হয়েছে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ টেস্ট। পুরো সিরিজেই ভারত ব্যাটিং নিয়ে ভুগেছে। আজও ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম আট ওভারেই দুই উইকেট খুইয়ে বসেছে। ভারতের স্কোর যখন ১৭/২, তখন ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি।
কোহলির খেলা ইনিংসের প্রথম বলটি করেন স্কট বোল্যান্ড। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে থাকা বলে খোঁচা দেন কোহলি। বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো স্টিভেন স্মিথের হাতে। তিনি ক্যাচ ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পুরো অস্ট্রেলিয়া দলও উদযাপন শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে। যেন তারা অনেকটাই নিশ্চিত যে এটা আউট।
কিন্তু মাঠের আম্পায়ার সৈকত নিশ্চিত ছিলেন না ক্যাচ ঠিকভাবে নেওয়ার ব্যাপারে। তিনি তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। সেই দায়িত্বে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন। তিনি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বার বার রিপ্লে দেখেন। সেখানে দেখা যায় স্মিথ ক্যাচ নিলেও বল মাটিতে ছুঁয়ে ছিল। যে কারণে নট আউটের সিদ্ধান্ত জানান উইলসন।
মধ্যাহ্ন বিরতিতে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে স্মিথ ব্রডকাস্টারকে বলছিলেন, ‘১০০ ভাগ নিশ্চিত ওটা ক্যাচ ছিল। অস্বীকার করার সুযোগই নেই। একশো ভাগ ছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তটা শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারেরই।’ অবশ্য শূন্য রানে জীবন পাওয়া কোহলিইনিংস লম্বা করতে পারেননি আজও। দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৬৯ বলে ১৭ রান করে ওই বোল্যান্ডের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত টেস্টে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জয়সওয়ালকে আউট দেওয়ার ‘সাহস ‘ সিদ্ধান্ত শিরোনামে এনে দিয়েছিল বাংলাদেশের এই আম্পায়ারকে। স্নিকো মিটারের তথ্য নাকচ করে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তিনি। সেদিন তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করছিলেন তিনি। মাঠের আম্পায়ার ছিলেন উইলসন। সিডনিতে ভূমিকা পাল্টে গেছে। তবে দুই ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আম্পায়াররা।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ