বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৬ উইকেট হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এতে জয় দিয়ে আসর শুরু করলো বরিশাল।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ১৯৮ রানের বড় লক্ষ্য দেয় রাজশাহী। জবাব দিতে নেমে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। এদিন ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অপর প্রান্ত থেকে ৫ বলে ৭ রান করে তাসকিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। এতে দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি কাইল মায়ার্সও। ৫ বলে ৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। পরে অভিজ্ঞ মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই।
১১ বলে ১৩ রান করে মুশফিক আউট হলে ২৩ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়ও। এতে দলীয় ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বরিশাল। তবে সপ্তম উইকেটে ব্যাট চালাতে থাকেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বলে ২৭ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই পাক ক্রিকেটার।
তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। হাসান মুরাদের বলে টানা তিন ছক্কা হাকিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।
১৭তম ওভারে লাহিরুকে ৩ ছক্কা হাকিয়ে রাজশাহীর কাছ থেকে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ফাহিম। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাকিয়ে ২১ বলে ফিফটি করেন এই পাক ব্যাটার। এতে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় পায় বরিশাল।
রাজশাহীর হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়াও হাসান মুরাদ দুটি এবং জিশান আলম নেন এক উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। ২ বল খেলে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন তরুণ ওপেনার জিশান আলম। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। ১২ বলে ১৩ রান করেই আউট হন এই পাক ব্যাটার।
তিনে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয়। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান করে রাজশাহী। তাকে সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। তাদের ব্যাটে ভর করে ১৩ ওভারে ১০০ রানের কোটা পার করে দলটি।
৪২ বলে ফিফটি তুলে নেন বিজয়। অপর প্রান্তে থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন ইয়াসিরও। এতে ৩৫ বলে ফিফটি তুলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তারা ১৪০ রানের জুটি গড়েন। তবে ১৮তম ওভারে ক্যাচ আউট হন বিজয়। ৫ ছক্কা এবং ৪ বাউন্ডারিতে ৫১ বলে ৬৫ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান বাড়াতে থাকেন ইয়াসির। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলের অভাবে তা পূরণ করতে পারেননি তিনি। ৬ ছক্কা এবং ৭ বাউন্ডারিতে ৪৭ বলে ৯৪ রান করেছেন ইয়াসির। এতে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে রাজশাহী।
বরিশালের হয়ে বল হাতে দুই উইকেট শিকার করেন কাইল মায়ার্স। এ ছাড়াও এক উইকেট শিকার করেছেন ফাহিম আশরাফ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ