ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই দুই মহাতারকার অবসরের পর ফুটবল দুনিয়ার রাজা হওয়ার প্রশ্নে বিতর্কের শেষ নেই। এমন জল্পনা-কল্পনা যখন আলোচনার বিষয়বস্তু তখন বার্সেলোনার হয়ে মেসির বিকল্প ভূমিকায় স্প্যানিশ তরুণ লামিন ইয়ামাল বেশ সফল।
অভিষেকের পর শুরুর পথটা অনেকটা খুদে জাদুকরের ন্যায় করেছেন। তাতেই আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সঙ্গে তুলনার পথ তৈরি হয়ে গেছে। পরিসংখ্যানের পাতায়ও ১৭ বছর বয়সি ইয়ামাল ছাড়িয়ে গেছেন মেসিকে। সমর্থকদের মধ্যমণিও বনে গেছেন। এবার সব স্বীকৃতিকে ছাড়িয়ে গেলেন।
অভিষেকের পর রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দেয়া এ তারকা পেয়েছেন মেসির ভূয়সী প্রশংসা। কৈশোরের বৃত্তে থাকা ইয়ামালকে শুধু বার্সেলোনারই নয় ফুটবলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছেন। ইউরো জয়ী এ তারকার মাঝে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন মিয়ামি তারকা।
মেসি বলেন, তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে। তাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, সেটা বয়স ও ভবিষ্যতের কারণে, আমি শুনেছি অনেকেই লামিনে ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই আমিও তাই নেব।
তিনি আরও বলেন, আমি একমত। তবে এটা তার ওপর এবং আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু নিঃসন্দেহে তার দারুণ ভবিষ্যৎ রয়েছে।
মাত্র সাত বছর বয়সে বার্সেলোনার একাডেমিতে যোগ দেয়া ইয়ামালের মূল দলে অভিষেক হয় ১৫ বছর বয়সে। এরই মধ্যে ক্লাবের হয়ে ৭০টির বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। গত ইউরোতে স্পেনের শিরোপা জয়েও রেখেছেন বড় অবদান।
তাই সবশেষ ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। কিছুদিন আগে সবচেয়ে কম বয়সে জেতেন ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার।
২০২১ সালে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বার্সেলোনা ছাড়েন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। ক্যাম্প ন্যুয়ে ২১ বছরের অধ্যায়ে রেকর্ড ৩৪টি শিরোপা জেতেন তিনি। কাতালান ক্লাবটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার ও গোলের রেকর্ডও তার।
মেসি ক্লাব ছাড়ার পর গত কয়েক বছরে খুব একটা সাফল্য পায়নি বার্সেলোনা। জার্মান কোচ হান্সি ফ্লিকের কোচিংয়ে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত লা লিগার শীর্ষে আছে তারা। নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টেবিলে উঠে এসেছে দুই নম্বরে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ