২০০৯ সালের জুলাই। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় মাস। গ্রেনেডার সেইন্ট জর্জে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে অন্যতম মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলে টাইগাররা। সাকিব আল হাসান ও রকিবুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতে তারা (২-০)। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজই নয়, বিদেশের মাটিতে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়।
প্রথম টেস্টে বড় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন নেতৃত্বভার পাওয়া মেহেদী মিরাজ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তার দল।
অলআউট হয় মাত্র ১৬৪ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।
জবাবে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪৬ রানে অলআউট করেন তরুণ গতিময় পেসার নাহিদ রানা। তিনি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন।বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের আলীর দৃঢ়তায় ২৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জাকের একপ্রান্ত দিয়ে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া সাদমান ৪৬ ও মিরাজ ৪২ রান যোগ করেন। বাংলাদেশ জয়ের জন্য স্বাগতিকদের ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয়।বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৮৫ রানে অলআউট হয়েছে ক্যারিবীয়রা। দলটির পক্ষে ওপেনার ও অধিনায়ক ব্রাথওয়েট ৪৩ রান করেন। কাভেম হগ ৫৫ রান যোগ করেন। তাইজুল ১৭ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজেই দুটি টেস্ট জিতেছিল টাইগার বাহিনী। এত দিন কোনো পঞ্জিকা বর্ষে এটাই ছিল সেরা সাফল্য। এবার জিতল তিনটি ম্যাচ। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এ বছর দেশের জয় হল তিনটি টেস্ট ম্যাচ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো আসরে এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ