আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ নারী দল। এবার তৃতীয় ম্যাচেও হারিয়ে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করতে মাঠে নেমেছে টাইগ্রেসরা। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৮৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারীরা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা।
ওপেনিং জুটিতে সারাহ ফোর্বসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুতেই মাঠে নামেন গ্যাবি লুইস। তবে ওপেনিং জুটিতে সুবিধা করতে পারেনি সফরকারী দল। দলীয় ৯ রানেই বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার সুলতানা খাতুনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সারাহ।
এরপর ওয়ান ডাউনে নামা অ্যামি হান্টারকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন আইরিশ অধিনায়ক। দলীয় ৫২ রানে রাবেয়া খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অ্যামি হান্টার। তার ব্যাক্তিগত ২৩ রান তোলার আগে ৪০ বল খরচায় ছিল একটি চারের মার। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন সফরকারী অধিনায়ক।
পরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ৯ম ফিফটি করেন তিনি। এরপর পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লুইস। ৭৯ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় রান আউটের ফাঁদে সাজঘরে ফেরেন লেয়া পল। তবে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মিডল অর্ডার ব্যাটার ওরালা প্রেন্ডারগাস্ট।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৪৫ বলে ২৭ রানে স্বর্ণা আক্তারের তৃতীয় ওভারে বোল্ড হয়ে ফেরেন প্রেন্ডারগাস্ট। পরের ওভারেই বল তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ফাহিমা খাতুনের হাতে তুলে দিয়ে সুলতানা খাতুনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন উনা রেমন্ড-হোই। এতে দলীয় ১২৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আইরিশরা।
অষ্টম উইকেটে আর্লেন কেলিকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন আলানা ডালজেল। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। কেলি ১৮ রান এবং ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডালজেল। এরপর কারা মুরাই (১৩) এবং অ্যামি ম্যাগুয়ার ৩ রান করে আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ১৮৬ রান করে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ফাহিমা খাতুন। এ ছাড়াও সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার দুটি এবং স্বর্ণা নেন এক উইকেট।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ