আসন্ন আইপিএল সামনে রেখে নিলামে নাম দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ১২ ক্রিকেটার। ধারণা করা হচ্ছিল আইপিএলে নিয়মিত খেলা সাকিব মুস্তাফিজ ছাড়াও নতুন আরও এক দু’জনকে দেখা যেতে পারে আসন্ন আইপিএলে। বাংলাদেশি সমর্থকরা সেই স্বপ্ন নিয়ে গত দু’দিন আইপিএলের মেগা নিলামে চোখ রেখেছিল। তবে তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
নিলামে নাম ডাকা হলেও মুস্তাফিজ ও রিশাদ হোসেনকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। সাকিবসহ বাকি ১০ ক্রিকেটারের তো নামটাও তোলা হয়নি নিলামে। অথচ, একই নিলামে দল পেয়েছেন অনেক অখ্যাত ক্রিকেটার। কারিকারি টাকায় তাদের দলেও ভিড়িয়েছে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। অনেককে নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অতি কাড়াকাড়িও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আর সেখানটাতে কিনা; বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটারে ন্যূনতম আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এমন অনাগ্রহের কারণ কি। শুধুই কি ক্রিকেটিয় কারণে দল পাননি এই ক্রিকেটাররা। নাকি এর পেছনে আছে আরও কারণ। সেই ইঙ্গিতই মিলছে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন ও এই সময়ের খবরে।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে কেন আগ্রহ নেই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর তা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সংবাদ মাধ্যম দুটি। যেখানে ক্রিকেটীয় কারণের সঙ্গে মাঠের বাইরের রাজনীতির কথাও বলা হয়েছে। আর সেটি না হলে মুস্তাফিজের দল পাওয়া এক রকম নিশ্চিতই ছিল। দল পেতে পারতেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিবও। চেন্নাইয়ের ফেসবুক পেজে সেই আভাসই মিলেছিল।
গত মৌসুমে আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন মুস্তাফিজ। ৯ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ১৪ উইকেট। খেলেছেন নিয়মিত। তবে সেই মুস্তাফিজকে আসরের মাঝপথে দেশে ফিরিয়ে আনে বিসিবি। যা ভালোভাবে নেয়নি মুস্তাফিজের দল চেন্নাই সুপার কিংস। যে কারণে সেই মৌসুমে বেশ ভোগতে হয়েছে চেন্নাইকে। এসব কারণেই এবার মুস্তাফিজকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি চেন্নাই ও বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তাছাড়া আইপিএলের মাঝপথে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দেশে ফিরিয়ে আনার ঘটনা অনেকটা নিয়মিত। যে কারণে এবার আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
এতো গেল ক্রিকেটীয় কারণ, এর বাইরে রজনীতিও জড়িত আছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দল না পাওয়ার পেছনে। কলকাতার সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে তারপর সে দেশে ভারত বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি ভারতেও বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি ক্রিকেটার নিলে ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ